18 Magh 1431 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / প্রতিবেদন / সীমান্ত ঘেঁষা নওগাঁর ৩৬টি গ্রাম মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য

সীমান্ত ঘেঁষা নওগাঁর ৩৬টি গ্রাম মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য

এনবিএন ডেক্স: নওগাঁ জেলার সীমান্ত ঘেঁষা ৩৬টি গ্রাম মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। রাজধানীর শীর্ষ মাদক কারবারিরা ওইসব গ্রামে আস্তানা গেড়ে চালাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। সীমান্ত ঘেঁষা ওইসব গ্রামে প্রতিদিন ফেনসিডিল, গাঁজাসহ প্রায় কোটি টাকার মাদক আসছে। পরে সেখান থেকে এসব মাদক যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থা্নে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে, আবার কখনো তাদেরকে ম্যানেজ করে ভারত থেকে ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছেন। এসব মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন এলাকাভিত্তিক এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি। জেলার ধামইরহাটের আগ্রাদিগুণ, শিমুলতলী, তালন্দা, রাম চন্দ্রপুর, আউলাদীঘি, মনোয়ারপুর, কাউন্টিপাড়া, কুমরইল, বস্তাবর, পত্নীতলার পাটুলহাট, গুড়কি, শীতল, রামচন্দ্রপুর, মলিৱকপুর, সাপাহারের পাতারী, কলমুডাংগা, আইহাই, পাতলা, খঞ্জনপুর, রামরামপুর, পোরশার পশ্চিম দুয়ারপাল, সুহাটি, গানইর, দুয়ারপাল, নিতপুর, কালাইবাড়ী, বিষ্ণুপুর, নিতপুরসদরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে নিয়ে আসছেন ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকের চালান। ভারতীয় বিএসএফ এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করায় চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এখান থেকেই সুকৌশলে মাদকের চালান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স’ানে পৌঁছে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স’ানে মাদক পৌঁছে দেয়ার জন্য মাইক্রোবাস, লক্করঝক্কর মার্কা পিকআপ ভ্যান, বালি ভর্তি ট্রাক, সরকারী ও বেসকারী এ্যাম্বুলেন্স এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে মাদক পাচারবোধে সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন সংস’া। বিভিন্ন সংস’া প্রায়ই ছোটখাট মাদকের চালান আটক করছে। তারপরও মাদক চোরাচালান থামছে না বলে জানান জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফার্বক সুলতান। তিনি আরো জানান, গত ১৭ নভেম্বর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজী গ্রামে অভিযান চালিয়ে সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার গাঁজা উদ্ধার করে র‌্যাব-৫ এর একটি দল। অভিযানে র‌্যাব সদস্যরা বাড়ির বিভিন্ন স’ানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ৬টি পৱাস্টিকের ড্রাম খুঁেজ পান। ড্রামগুলোর দুটিতে পলিথিনে প্যাকেট করা ১৩ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। সীমান্তের ওপার থেকে চোরাইপথে গাঁজার একটি বড় চালান এনে মজুদ রেখে খুচরা বিক্রি করে আসছিলেন সিদ্দিক। একাধিক সূত্রের দাবি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, মাদক ব্যবসায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেউ জড়িত আছে এমন প্রমাণ নেই। যদি পাওয়া যায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক চোরাচালান বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথাও বলেন তিনি।#

আরও পড়ুন...

বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য

এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …