নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হত্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দেলদার হোসেনের উপর দায়ের করা হত্যা মামলার প্রতিবাদে গত ২৬ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ধামইরহাট প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। গত ২৪/১১/২০১১ তারিখে নওগাঁ ৪নং আমলী আদালতে ২৩০/২০১১ (ধাম) নং একটি মামলা ধামইরহাট উপজেলার মৃত তনছের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে দায়ের করেন। মামলায় ধামইরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান দেলদার হোসেনকে ১নং আসামী সহ ২০ জনকে আসামী করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, “১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ৮নং খেলনা ইউপি চেয়ারম্যান, পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছি। ঠিক এই সময়ে আমার ভাবমূর্তি ও সুখ্যাতি নষ্ট করা এবং ডাকাত হত্যার ঘটনাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টায় বাদী ভিত্তিহীন এই মামলা দায়ের করেন।” তিনি আরও বলেন “প্রকৃত ঘটনা গত ১৫ নভেম্বর রাতে আগ্রাদ্বিগুন গামী ১টি যাত্রীবাসী বাস নং- বগুড়া ব-৪৬৯৮ আগ্রা গ্রামের ধুলাউরি নামক স’ানে ডাকাতদল কর্তৃক রাস্তায় গাছ কেটে বাস আটকিয়ে ডাকাতীকালে স’ানীয় গ্রামবাসীর নিকট হাতে-নাতে ধরা পড়ে রাতে গনপিটুনীতে ২ ডাকাত নিহত হয়। ডাকাতদ্বয় দেবীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে শাহজান আলী (৪০) ও গুন দেশাহার গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে ফজলুর রহমান ভেদু (৫০)। পরদিনই “বাস ডাকাতিকালে গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত” এমন শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকা ও স্যাটেলাইট চ্যানেলে খবর প্রকাশিত হয়। থানা পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে এবং নওগাঁ পুলিশ সুপার রাতেই ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানায় বাস ড্রাইভার আলামিন বাদী হয়ে ১৬/১১/১১ তারিখে ১৩/১৮৩ নং একটি ডাকাতি মামলা ও এস আই মেহেদী মাসুদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামীকরে ১৪/১৮৩ নং ১টি নরহত্যা মামলা দায়ের করেন। জনাকীর্ণ সম্মেলনকালে অন্যান্যের মধ্যে ধামইরহাট পৌর মেয়র আমিনুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক, মাহফুজার রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আজাহার আলী, স’ানীয় নেতৃবৃন্দ ও খেলনা ইউনিয়নের নেতাকর্মী উপসি’ত ছিলেন। সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দেলদার হোসেন ২০ জনকে আসামী করে ভিত্তিহীন উক্ত মামলার প্রতিবাদ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেৰে কর্তৃপৰের নিকট সুবিচার দাবী করেন।