এনবিএন ডেক্স: বৃহস্পতিবার নওগাঁর ৪নং আমলী আদালতে জেলার ধামুরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ সুনিদৃষ্ট ২০জন সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- সি,আর ২৩০/২০১১ (ধাম)। ধারা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৪১/৩৬৪/৩০২/৩৪/১১৪। মামলাটি গ্রহণান্তে নওগাঁর ৪নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট খোরশেদ আলম মামলার বাদীর ২০০ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড পূর্বক একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার (ধামুরহাট থানার মামলা নং-১৪/১৮৩, তারিখ ১৬/১১/২০১১) রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কার্যক্রম স’গিতের আদেশ দিয়েছেন। মামলার সংৰিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭ টায় মামলার বাদী ধামুরহাট উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে শাজাহান পার্শ্ববর্তি গুনদেশহার গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে ফজলুর রহমান প্রকাশ ভেদুকে সাথে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে নিজ গ্রাম দেবীপুরে ফিরছিল। বাড়ী ফেরার সময় রাত সাড়ে ৭টায় তারা উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউপির অধীন ধুলাউরি নামক স’ানে পৌছুলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সেখানে অবস’ান রত কিছু দলবদ্ধ লোকজন তাদেরকে ডাকাত বলে আটক করে সেখান থেকে অপহরণ করে প্রায় দেড় কি:মি: দুরবর্তী উপজেলার খেলনা ইউপির অধীন লোদীপুর মাদ্রাসার দুটি কৰে নিয়ে গিয়ে পৃথক ভাবে মারপিট করে তাদের হত্যা করে। মামলায় আরো উলেৱখ করা হয়েছে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিহত শাজাহানের সাথে ধামুরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলদার হোসেনের সাথে বিরোধ ঘটে এবং সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলার ১নং আসামী ধামুরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলদার হোসেনে ও ২নং আসামী লোদীপুর গ্রামের ফইমুদ্দিনের ছেলে রশিদুল ইসলাম প্রকাশ রশি নিহত শাজাহানকে ‘দেখে’ নেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ধুলাউরি পাকা রাস্তায় একটি সড়ক ডাকাতি সংঘঠিত হলে সেখানে অবস’ান রত ২নং আসামী পরবর্তীতে নিহতদের পেয়ে তাদেরকে আটক করে অপহরণ করে লোদীপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদে নিয়ে আসে এবং মসজিদে আটক করে রেখে মামলার ১নং আসামীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে নিহতদের আটক ও অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে। ১ নং আসামী বিষয়টি অবগত হয়ে ২নং আসামীকে নির্দেশ দিলে ২নং আসামী নিহতদের মসজিদ থেকে বের করে নিয়ে মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার দুটি কৰে পৃথক ভাবে আটক করে নির্মম ও নির্দয় ভাবে শাররিক নির্যাতন করে শাজাহানকে হত্যা করে। এর পর ২নং আসামী পুনরায় সেলফোনে ১নং আসামীর সাথে যোগাযোগ করার পর তার নির্দেশে অপর কৰে গিয়ে একই কায়দায় ফজলুর রহমান প্রকাশ ভেদুকে হত্যা করে। আসামীরা শুধু হতভাগ্য দুজনকে হত্যা করেই খান্ত হয় নি তারা নিহত শাজাহানের ব্যবহৃত একটি নোকিয়া মডেল ক্লাসিক ২৭০০ মোবাইল সেট (নম্বর-০১৭২৪-৫৯৫৬২৩, একটি ৬ আনা ওজনের সোনার চেইন ও একটি সোনার আংটি এবং নিহত ফজলুর রহমান প্রকাশ ভেদুর ব্যবহৃত একটি নোকিয়া ১৬০০ মডেলের (নম্বর-০১৭৪৬-৩২৯৪১০) সহ কাছে থাকা অন্যান্ন জিনিষ পত্র নিয়ে যায় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গেলে পুলিশ তা পরে হেফাজতে নিয়ে যায়। নিহত শাজাহানের পিতা মামলার আর্জিতে আরো উলৱখ করেছেন যে তার ছেলে ও ছেলের সঙ্গীকে অপহরন করে মামলার ২নং আসামীর নেতৃত্বে লোকজন লোদীপুর মাদ্রাসা কৰে নিয়ে গেছেন, সেলফোনে এ সংবাদ পেয়ে তিনি দ্র্বত অকুস’লে পৌছে ছেরেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ধামুরহাট থানা পুলিশকে খবর দিলেও পুলিশ অনেক দেরী করে ঘটনাস’লে পৌছার কারণে আসামীরা নির্বিঘ্নে পরিকল্পিত ভাবে এবং অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় এই হত্যাকান্ড সম্পূর্ণ করেছে। গতকাল মামলা দয়েরের পর নিহত শাজাহানের বাবা মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান আদালত প্রাঙ্গনে এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপ কালে জানান, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। তিনি দাবী করে বলেন ঘটনার সময় ও তার পরের সময়ের মামলার ১ ও ২নং আসামীর মোবাইল ফোনের কললিষ্ট পরীৰা করলে এই হত্যাকান্ডের আলামত পাওয়া যাবে। তিনি এই হত্যকান্ডকে গত শবে বরাতের রাতে ঢাকার আমিন বাজারের ছয় হত্যাকান্ড ও লিমনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সামিল আখ্যায়িত করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য দেশেল মানবাধিকার সংগঠন সহ সাংবাদিকদের সহোযোগিতা কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন...
বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য
এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …