27 Boishakh 1432 বঙ্গাব্দ শনিবার ১০ মে ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / প্রতিবেদন / শীতের আগমন বার্তায় নওগাঁয় ব্যস্ত লেপ-তোষকের কারিগররা

শীতের আগমন বার্তায় নওগাঁয় ব্যস্ত লেপ-তোষকের কারিগররা

এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁয় শীতের আগমন বার্তায় লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন হাট-বাজার ও মেলায় বিক্রির জন্য লেপ-তোষক তৈরি করে মজুদ করছেন তারা। লেপ-তোষকের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় তা বিক্রিও শুরম্ন হয়ে গেছে। আবার অনেক নিম্নবিত্ত পরিবার শীত মৌসুমে কাঁথা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। শীতকে ঘিরে তাই গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে শুরম্ন হয়েছে কাঁথা সেলাইয়ের প্রতিযোগিতাও। সরজমিনে জানা গেছে, কাপড় ও তুলার মান বুঝে লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ৪/৫ হাত লেপ-তোষক ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। কারিগররা প্রতিটি লেপের মজুরি বাবদ পান ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তবে কাপড় ও তুলার দাম বেশি হওয়ায় এ বছর লেপ-তোষকের দাম একটু বেশি। তারপরও চাহিদার কমতি নেই। অন্যদিকে একটি কাঁথার মূল্য নেয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। গ্রামের কিছু মহিলারাও প্রতিটি কাঁথার জন্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা মজুরি নিয়ে তৈরি করে দিচ্ছেন। এবার কার্তিক মাসের শুরম্ন থেকেই শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ জেলায় শীত পড়তে শুরু করেছে। রাত ১০টার পর থেকে সকাল পর্যনত্ম বর্তমানে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশাও ঝরছে। এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার না করে রাতে ঘুমানো যায় না। অবস’াসম্পন্ন লোকজন তাই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করছেন। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের পরিবারের মহিলারা পুরোনো শাড়ি ও লুঙ্গি দিয়ে কাঁথা তৈরি করে চলেছেন। ব্যবসায়ী আজাদ, নওশাদ জানান,গ্রাম অঞ্চলের ক্রেতাদের লেপ-তোষক তৈরীর  ভিড় আগের চাইতে বেশি। কিছু ব্যবসায়ী বাইসাইকেলে করেও গ্রামে গ্রামে লেপ-তোষক ফেরি করে বিক্রি করছেন। লেপ ফেরিওয়ালা রমজান জানান, শীতের সময় লেপের চাহিদা থাকায় তারা গ্রামে গ্রামে ফেরি করে চলেছেন। একটি লেপ বিক্রি করে ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাভ হয়। জেলায় শহরের প্রায় ৪০টি লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের কারিগররা এখন খুবই ব্যসত্ম সময় পার করছেন। লেপ-তোষক ডেলিভারি দিতে তারা অতিরিক্ত কারিগর রেখেছেন। শীত মৌসুমে বেশি অর্ডার পেয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। ফলে সারা বছরের তুলনায় এ সময় তাদের কাজ বেশি করতে হয়। কারণ, এ মৌসুমের আয় দিয়েই তাদের পুরো বছর চলতে হয়। এদিকে শীত মৌসুমের শুরম্নতেই এ অঞ্চলের বিভিন্ন পরিবারের গৃহবধূরা সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্মের পাশাপাশি অবসর সময়টুকু কাঁথা সেলাই করে পার করছেন। আপনজন এবং নিজেদের ব্যবহারের জন্য মনের মাধুরী মিশিয়ে নিপূণ কারম্নকার্যে কাঁথা সেলাই করছেন তারা। এর মধ্যে অনেক পরিবারই রয়েছে, যারা কাঁথা সেলাই করে বাড়তি আয়ের মাধ্যমে সংসার পরিচালনা করছেন। জেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের জোবেদা ও আবিদা বেগম জানান, উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কাছে কাঁথা সেলাই করে দিতে আগাম বায়না করেন। এভাবে প্রতি বছর তারা ৫০ থেকে ৬০টি কাঁথা সেলাই করে থাকেন।#

আরও পড়ুন...

বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য

এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …