17 Ashar 1432 বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সারাদেশ / রাজীবপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙন এলাকাবাসীর সাথে হাত মেলালেন এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান

রাজীবপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙন এলাকাবাসীর সাথে হাত মেলালেন এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান

এনবিএন ডেক্স: ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ নদীভাঙনে রাজীবপুরের ঐতিহ্যবাহী নয়াচর বাজার যখন যায় যায় অবস্থা এবং সরকারও ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না তখন এলাকাবাসী আর বসে থাকতে পারলেন না। যার যা কিছু আছে তা নিয়েই ভাঙন প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন এলাকাবাসী। তাদের এ উদ্যোগের সঙ্গে প্রথমে হাত মেলালেন রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম। এরপর এগিয়ে আসলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। এলাকাবাসী হাতে হাত রেখে ভাঙন প্রতিরোধে বাঁশের পাইলিং আর বালুর বস্তা ফেলছে।
গত কয়েকদিন থেকে রাজীবপুর উপজেলার নয়াচর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙন চলছে। নয়াচর দিয়ারারচর থেকে শংকরকুরপাড়া প্রায় ৪ কিলোমিটারজুড়ে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে এরই মধ্যে দু’টি গ্রাম সম্পূর্ণ, চারটি গ্রাম আংশিক এবং ঐতিহ্যবাহী নয়াচর হাটবাজার, ইউনিয়ন পরিষদসহ ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন হুমকির মুখে। নদে হারিয়ে গেছে ৫শ’ পরিবারের ঘরবাড়ি। সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়াচর বাজারের পশ্চিমপাশে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন কবলিত এলাকায় বাঁশের পাইলিং নির্মাণ করছে এলাকাবাসী। এসময় এলাকাবাসী সুরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাঁশ সংগ্রহ করেছি। তার তা দিয়ে বাঁশের পাইলিং নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব আছেন। তিনি প্রতিদিনের কামলার দাম দিয়ে দিচ্ছেন। এমপি সাহেবও দুই লাখ টাকা দিতে চেয়েছেন। তার ওপর নির্ভর করে গাছ কেনা হচ্ছে। এই গাছ গুলো দিয়ে খুঁটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবাসী আব্দুস সালাম তালুকদার জানান, দুইদিনে নয়াচর উত্তরপাড়া ও নয়াচর মুন্সিপাড়া গ্রাম দুটি সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায়।
এতে কমপেক্ষ ৫শ’ পরিবারের আড়াই হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। যে হারে ভাঙছে তা অব্যাহত থাকলে আগামি এক সাপ্তাহে নয়াচর বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, নয়াচর ইসলামিয়া মাদ্রাসা, নয়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াচর নিম্নমাধ্যমিক বালক বিদ্যালয় এবং বাজারের প্রায় এক হাজারের ওপর দোকানপাট হারিয়ে যাবে। রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম জানান, আমি কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়েছি। এলাকাবাসী ভাঙন প্রতিরোধে বাঁশের পাইলিং তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। তাদের সঙ্গে আমি একমত হয়ে আমার ব্যক্তিভাবে এক লাখ টাকা প্রদান করেছি। এছাড়াও বিষয়টি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় এমপি রুহুল আমিন জানান, নয়াচর বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য এলাকাবাসি এগিয়ে এসেছে। আমি তাদের সঙ্গে আছি। এতে আমি দুই লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় ৫জনের ৪ বছরের কারাদন্ড

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারি মামলায় ৫জনকে ৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন …