15 Chaitro 1430 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সর্বশেষ / মোদীর প্রথম সফর ঢাকায় হতে পারে তিস্তা চুক্তি

মোদীর প্রথম সফর ঢাকায় হতে পারে তিস্তা চুক্তি

এনবিএন ডেক্স: ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকায়ই প্রথম সফর হতে পারে নরেন্দ্র মোদীর এবং তিস্তা চুক্তির জটও খুলতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
আগামী ২৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া মোদী ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরের দিনক্ষণ ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে নয়া দিলি্লর কূটনৈতিক সূত্র জানায়। খবর বিডিনিউজ।
মোদির শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত আট দেশের সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ওই সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে থাকবেন বলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির কট্টর এই নেতা ভোটের সময় কথিত বাংলাদেশীদের ভারত থেকে বিতাড়নের ডাক দেয়ায় বাংলাদেশের অনেক মহলে তাকে নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
তবে মোদীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা অমিত শাহ গত ১৬ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর জানিয়েছেন, মোদীর নেতৃত্বে সরকার ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে তেমন পরিবর্তন আনবে না।
ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন বার্তা পাঠান মোদীকে। পরে তিনি সরাসরি টেলিফোন করে কথা বলেন প্রতিবেশী দেশটির হবু প্রধানমন্ত্রীর সাথে, আমন্ত্রণ জানান ঢাকা আসার।
টেলিফোনে আলাপে হাসিনা তিস্তা চুক্তির বিষয়টি তুললে মোদী ইতিবাচক মনোভাব দেখান বলে বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারতের বিদায়ী সরকারের সময় তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে আটকে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির ওই নেতা বলেন, “শেখ হাসিনার টেলিফোন আলাপে মোদীকে বলেছেন যে বাংলাদেশকে তিনি তার ‘সেকেন্ড হোম’ ভাবতে পারেন। এতে মোদীর হৃদয় স্পর্শ করেছে।”
ওই আলোচনার একটি বড় অংশজুড়ে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ছিল বলে বিজেপির ওই নেতা জানান।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার সাথে কথা বলার পর মোদী দ্রুততম সময়ে এই বিষয়টি (তিস্তা) নিষ্পন্ন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বলেছেন।”পশ্চিমবঙ্গ পানি সংকটে পড়বে দাবি তুলে তিস্তা চুক্তিতে আপত্তি জানানো মমতা এক সময় বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল। তবে এখন প্রচন্ড রকম মোদীবিরোধী অবস্থান নিয়ে আছেন মমতা। বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রা উন্নীত করতে নিজের আগ্রহের কথা শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন মোদী। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসাও তিনি করেছেন বলে বিজেপি নেতা জানান। বাংলাদেশের সাথে ভারতের স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা হওয়ার আগেই বিদায় নিল মনমোহন সিংয়ের সরকার। বিজেপি এক সময় স্থলসীমান্ত চুক্তির ঘোর বিরোধিতা করলেও পরে তাদের সুর নরম হয়। সর্বশেষ রাজ্যসভায় বিলটি উত্থাপিত হলে বিজেপি তার বিরোধিতা করেনি। তার আগে অবশ্য বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি দেখা করেছিলেন রাজ্যসভায় বিজেপির তখনকার নেতা অরুণ জেটলির সাথে। নয়া দিলি্লতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক এ করিম গুজরাট গিয়ে দেখা করেন মোদীর সাথেও।

আরও পড়ুন...

নওগাঁর তৈরি লেপ-তোষক যাচ্ছে দেশের শীতপ্রবন এলাকায়

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সারা দেশের মতো মাঘের ঘনকুয়াশা আর শৈতপ্রবাহের কারণে গ্রামীণ জনপদে জেঁকে বসেছে …