এনবিএন ডেক্স: নওগাঁ সদর সহ ১১টি উপজেলার হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমী ফল আম উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ মাসের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও হাট-বাজারে কোন গাছপাকা আমের দেখা মিলছে না। জেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে কেবলই কেমিক্যাল আর কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমের ছড়াছড়ি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওগাঁ পৌর বাজারসহ জেলার ১১টি উপজেলাসহ ৯৯টি ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক হাটবাজার রয়েছে। আমের মৌসুম শুরু হতে না হতেই ওই সব হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে আম উঠতে শুরু করে। বিশেষ করে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতেই হাট-বাজার দেশি আমে সয়লাব হয়ে যায়। তবে এসব আমের মধ্যে একটিও গাছপাকা আম নেই। সবই কেমিক্যাল, কার্বাইড বা খড়চাপা দিয়ে পাকানো। ভুক্তভোগী ক্রেতারা জানান, এখন আর এলাকার আম চাষিরা সরাসরি হাট-বাজারে আম বিক্রি করে না। তারা তাদের বাগানের কাঁচা আম এলাকার আম ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। আর ওই সকল ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাগান থেকে কাঁচা আম ভেঙে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কেমিক্যাল আর কার্বাইড দিয়ে ওই আম পাকিয়ে হাট-বাজারে বিক্রি করেন। বিশেষ করে এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কোন মাথাব্যথা না থাকায় ব্যবসায়ীরা অবাধে আমসহ বিভিন্ন মৌসুমী কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এ সব আম খেয়ে ক্রেতারা পেটের পীড়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আলা উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম বিশেষ করে শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শিশুরা ওই আম খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন...
বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য
এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …