এনবিএন ডেক্স:
সমস্যার ভারে ২৫০ শয্যার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল নিজেই অসুস্থ। তত্ত্বাবধায়ক ও ইমার্জেন্সি চিকিৎসক পদ শূন্য। নেই কোন এম্বুলেন্স। বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প ব্যবস্থায় অপারেশন করার ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে বিরাট অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। ৩ বছর ধরে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন বাবদ পাওনা অর্ধলক্ষাধিক টাকা।
সমস্যার ভারে জর্জরিত বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক পদে ৪ মাস যাবৎ কোন লোক নেই। গত জানুয়ারি মাসে এই পদ থেকে তত্ত্বাবধায়ক বদলি হয়ে যাওয়ার পর তার বিপরীতে কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। হাপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট জিয়াউল হাসান তত্ত্বাবধায়ক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে তিনি নাক.কান গলার চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে দিতে পারছেন না। তাকে সব সময় তত্ত্বাবধায়কের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের এই পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এবং নতুন নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাতে কোন সাড়া মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতালে ইমার্জেন্সি চিকিৎসক পদ ৮ টি। এর বিপরীতে চিকিৎসক আছে মাত্র ১ জন। ইমার্জেন্সি চিকিৎসক পদে কেউই যোগ দিতে চান না। এর কারণ হিসাবে জানা গেছে যে, ইমার্জেন্সি বিভাগে দিন রাত সব সময় কাজ করতে হয়। পারিবারিক ও সামাজিক কোন কাজে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। এ ছাড়া জরুরি বিভাগে মুমূর্ষু কোন রোগি এলে কোন ভুল ভ্রান্তি হলেই জনগনের রোষাণলে পড়তে হয়।
রোগি পরিবহনের জন্য কোন সচল এ্যাম্বুলেন্স নেই ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে। যে একটি এ্যাম্বুলেন্স আছে তা অর্থাভাবে মেরামত করা যাচ্ছে না। তাই রোগিদের বাধ্য হয়ে বেসরকারি কথিত এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হাসপাতালে আসতে হয়। হাসপাতালে দ্বৈত বিদ্যুৎ লাইন না থাকায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে বিপাকে পড়তে হয় চিকিৎসকদের । নামমাত্র এ্কটি জেনারেটর আছে যা বেশীক্ষণ চললে বন্ধ হয়ে যায়। অপারেশন করা কালে বিদ্যুৎ চলে গেলে অপারেশনরত চিকিৎসকদের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে অপারেশন করতে হয়। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একজন চিকিৎসক জানালেন, মোমবাতি জ্বালিয়েও অপারেশন করা হয়েছে।
হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিল জমা হতে হতে এখন বিরাট অংকে চলে গেছে। বকেয়া বিলের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে এ পর্যন্ত ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫৯ টাকা বকেয়া রয়েছে। পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন বিল বাবদ পাওনা ৫৯ হাজার ৪১৯ টাকা ৯৩ পয়সা । ২০১১ সাল থেকে এই বিল বকেয়া রয়েছে। পত্রিকাগুলো মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের বিজ্ঞপ্তি আর ছাপতে চায় না। এ সবের জন্য একাধিক চিঠি চালাচালি করেও স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে কোন সাড়া মেলেনি।
সমস্যার ভারে জর্জরিত বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক পদে ৪ মাস যাবৎ কোন লোক নেই। গত জানুয়ারি মাসে এই পদ থেকে তত্ত্বাবধায়ক বদলি হয়ে যাওয়ার পর তার বিপরীতে কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। হাপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট জিয়াউল হাসান তত্ত্বাবধায়ক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে তিনি নাক.কান গলার চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে দিতে পারছেন না। তাকে সব সময় তত্ত্বাবধায়কের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের এই পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এবং নতুন নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাতে কোন সাড়া মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতালে ইমার্জেন্সি চিকিৎসক পদ ৮ টি। এর বিপরীতে চিকিৎসক আছে মাত্র ১ জন। ইমার্জেন্সি চিকিৎসক পদে কেউই যোগ দিতে চান না। এর কারণ হিসাবে জানা গেছে যে, ইমার্জেন্সি বিভাগে দিন রাত সব সময় কাজ করতে হয়। পারিবারিক ও সামাজিক কোন কাজে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। এ ছাড়া জরুরি বিভাগে মুমূর্ষু কোন রোগি এলে কোন ভুল ভ্রান্তি হলেই জনগনের রোষাণলে পড়তে হয়।
রোগি পরিবহনের জন্য কোন সচল এ্যাম্বুলেন্স নেই ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে। যে একটি এ্যাম্বুলেন্স আছে তা অর্থাভাবে মেরামত করা যাচ্ছে না। তাই রোগিদের বাধ্য হয়ে বেসরকারি কথিত এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হাসপাতালে আসতে হয়। হাসপাতালে দ্বৈত বিদ্যুৎ লাইন না থাকায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে বিপাকে পড়তে হয় চিকিৎসকদের । নামমাত্র এ্কটি জেনারেটর আছে যা বেশীক্ষণ চললে বন্ধ হয়ে যায়। অপারেশন করা কালে বিদ্যুৎ চলে গেলে অপারেশনরত চিকিৎসকদের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে অপারেশন করতে হয়। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একজন চিকিৎসক জানালেন, মোমবাতি জ্বালিয়েও অপারেশন করা হয়েছে।
হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিল জমা হতে হতে এখন বিরাট অংকে চলে গেছে। বকেয়া বিলের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে এ পর্যন্ত ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫৯ টাকা বকেয়া রয়েছে। পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন বিল বাবদ পাওনা ৫৯ হাজার ৪১৯ টাকা ৯৩ পয়সা । ২০১১ সাল থেকে এই বিল বকেয়া রয়েছে। পত্রিকাগুলো মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের বিজ্ঞপ্তি আর ছাপতে চায় না। এ সবের জন্য একাধিক চিঠি চালাচালি করেও স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে কোন সাড়া মেলেনি।