পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় সূর্যমুখী চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।শুধুমাত্র শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বাকসী গ্রামেই এবার ১৫ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।নাজিরপুর কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তরের অব্যাহত চেষ্টার ফলে চাষীরা অন্যান্য ফসলের ন্যায় সূর্যমুখী চাষেও আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে তারা সূর্যমুখী চাষ করন লাভবান হচ্ছে ফলে তাদের আগ্রহ বেড়েছে পাশাপাশি অন্যান্য চাষীরাও আকৃষ্ট হচ্ছেন। বাকসী গ্রামেই ১৫ একর জমিতে সূর্যমুখী হওয়ায় পাশের গ্রামের চাষীরাও তাদের এ কর্মকান্ড দেখতে সূর্যমুখী ক্ষেতে ভড়ি জমাচ্ছেন। চাষী দিলিপ মিস্ত্রী জানান তিনি ১ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহার করে তিনি ভাল ফলন পেয়েছেন এবং খরচও খুব কম হয়েছে। তিনি জানান প্রতি হেক্টর জমিতে কমপক্ষে ৩ টন সূর্যমুখী বীজ পাওয়া যায়। ১ কেজি বীজে ৪শ’গ্রাম তেল পাওয়া যায় এবং প্রতি লিটার তেল স্থানীয় হাট বাজারে ৩ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি হয়। গুনেমানে এ তেল অনেক উন্নত। রান্না বান্নার কাজে ব্যাবহার করা হয়। একই গ্রামের বিজন ভট্রাচার্য জানান তিনি ১ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। গেল সপ্তাহে তিনি সূর্যমুখী কর্তন করেছেন। তিনি বলেন সূর্যমুখী চাষ করা যেমন লাভজনক তেমনি আনন্দদায়ক। তিনি বলেন সূর্যমুখীর মায়াবী ফুলগুলো দেখে প্রাণটা ভরে যায়।আর এ ফুলের সাথে যারা সবসময় থাকে তাদের মনটাও ফুলের মত পবিত্র হয়ে ওঠে এবং তাদের পক্ষে কোন খারাপ কাজ করাও সম্ভব নয়। বাবুল বেপারী জানান তিনি ৮০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন। তিনি জানান হাটে বাজারে আমরা সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করে থাকি। বাজার দরও মন্দ নয়। নাজিরপুর কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর ও বাকসী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ননী গোপাল মজুমদার বলেন আমরা গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহারের জন্য চাষীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ এতে খরচ একেবারেই কম। তাছাড়া ফলনও ভাল হয়।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …