17 Magh 1431 বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / প্রতিবেদন / নওগাঁর সীমানেত্ম গণকবর গুলো আজও অবহেলিত

নওগাঁর সীমানেত্ম গণকবর গুলো আজও অবহেলিত

এনবিএন ডেক্স: স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪০ বছর পরও পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হয় স্বাধীনতা কামী মানুষদের গণকবর ও বধ্যভূমি গুলো আজও অবহেলিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে ৫৬ কিঃ মিঃ দুরে বাংলা ভারতের কোল ঘেষে ধামইরহাট উপজেলার অবস’ান। গত স্বাধীনতা যুদ্ধে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাক বাহিনী, রাজাকার আর আলবদর বাহিনীর গণ নির্যাতন ও নিরীহ মানুষ হত্যার ফলে গ্রামবাসী দলে দলে প্রাণভয়ে ধামইরহাট উপজেলার বিভিন্ন সীমানত্ম পথ দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। উপরনত্ম এ পথ দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই পাক-হানাদার বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীকে দেশে ঢুকতে না দিতে এবং দেশ থেকে ভারতে আশ্রয় ঠেকাতে এ উপজেলা ফার্শিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও জমিদার বাড়ী পরিত্যাক্ত অংশে সেনা ক্যান্টনমেন্ট গড়ে তোলে ৭১ এর ২৬ শে মার্চের শেষ দিকে। হানাদার বাহিনীর সাথে এ দেশীয় রাজাকার, আল বদর বাহিনী যোগ দিয়ে ব্যাপক নির্যাতন অগ্নিসংযোগ, নারীর ইজ্জত হরণ সহ গণহত্যা চালিয়ে যায়। যদিও এ উপজেলা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় ১৯৭১ এর ১৩ ই ডিসেম্বর। কিন’ তাদের নির্মম অত্যাচার এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে নিরিহ গ্রামবাসীদের ধরে এনে গুলি করে হত্যা করে। অনেকের পরিচয় না পাওয়ায় প্রধান সড়কের ধারে এবং ক্যান্টনমেন্ট এর আশ পাশে বহু লাশ শিয়াল কুকুরের পেটে যায়। উটকো গন্ধ ঐ এলাকার আশ পাশের বাতাস বিষাক্ত করে তুলেছিল সে সময়। এসব হত্যার নজির ফার্শিপাড়া গ্রামের দক্ষিণ ধারে দু’টি এবং উত্তরে বেশ কয়টি গণকবর রয়েছে। অন্যদিক উপজেলার সীমানত্মবর্তী কুলফৎপুর গ্রামের ১৪ জনকে একই দিনে কুলফৎপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়। এই নির্মম ও বর্বরচিত হত্যার পর তাদের লাশ যত্র তত্র পড়ে থাকলেও গ্রামবাসীর ভয়ভীতিতে লাশগুলোকে জড়ো করে কোন মতে মাটিচাপা দেয়। অন্যদিকে এ উপজেলারই পাগলা দেওয়ান মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় এ উপজেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমির স্মৃতি চিহ্ন আজও মুছে যায়নি। গণ কবর ও বধ্যভূমি গুলো আজ গোচারনে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছরে এগুলো স্মৃতি ধরে রাখার কোন পদড়্গেপও নেওয়া হয় নাই সরকারীভাবে। খোজ নেয়া হয় নি মুক্তিযুদ্ধের সপড়্গের নিহত মানুষগুলোর অসহায় পরিবার গুলোর হাল হকিকত। যদি এসব গণ কবর বড় বড় শহরে ঘটে যেত তাহলে কত যে হৈ হট্টগোল পড়ে যেত প্রচার মাধ্যম গুলোর মাঝে। কিন’ গ্রামের প্রত্যনত্ম অঞ্চলের এসব হত্যাকান্ডের কে কার খোজ রাখে? তাই নিরবে নিভৃতে গণ কবর ও বধ্যভূমি গুলির স্মৃতি চিহ্ন দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী এসব বধ্যভূমি ও গণকবর গুলি সরকারীভাবে সংরড়্গনের ব্যবস’া গ্রহণ করা হোক। অপরদিকে পত্নীতলা উপজেলায় ৩৬টি ও মহাদেবপুর উপজেলায় ৬ টি পরিবারের গনকবর গুলি আজও অবহেলিত অবস’ায় আছে।

আরও পড়ুন...

বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য

এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …