23 Magh 1431 বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / প্রতিবেদন / নওগাঁর মান্দায় সাংবাদিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এনজিওর চেয়ারম্যান কর্তৃক মিথ্যা চুরির মামলায় মন গড়া মিথ্যা চার্জশীট দাখিল॥

নওগাঁর মান্দায় সাংবাদিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এনজিওর চেয়ারম্যান কর্তৃক মিথ্যা চুরির মামলায় মন গড়া মিথ্যা চার্জশীট দাখিল॥

এনবিএন ডেক্সঃ মান্দায় আনন্দ স্কুলের এক শিক্ষক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এনজিও এফ ডব্লিউ এডি চেয়ারম্যান কর্তৃক মিথ্যা চুরির মামলায় মন গড়া মিথ্যা চার্জশীট দাখিল করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।এলাকাবাসী প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির প্রসাদপুর গ্রামের মৃতঃ আজিম উদ্দিন এর পুত্র প্রসাদপুর আনন্দ স্কুলের শিক্ষক,‘দৈনিক বগুড়ার’ পত্রিকার মান্দা প্রতিনিধি সাংবাদিক হারুন আল রশীদ হীরা গত ২৮আগষ্ট ১১সালে রাত অনুমান ৮টায় প্রসাদপুর বাজারে ফয়সাল ক্লিনিকের পরিচালক জিয়াউর রহমানের পুত্র ফয়সালকে গৃহশিক্ষক হিসেবে পাঠদান শেষ করে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় পথ্যিমধ্যে ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন দ্বারিয়া পুর এনজিওর কুখ্যাত দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান একে এম লুৎফর রহমান এর সাথে স্কুলের এসিএফ,রেজুলেশন নোটিশ খাতা ও পাওনা বেতন ভাতাদি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কিন’ প্রভাব শালী চেয়ারম্যান ও তার শালিকা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা ইসলাম যোগসাজশ করে বিলের কাগজ এসিএফ মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট অফিস হতে উত্তোলন করে আনন্দ স্কুলে বিতরণ না করে নিজের কাছে রেখে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে প্রায় শিক্ষকদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এসিএফ চাইলে তিনি আসেনি বলে অস্বীকার করে প্রায় শিক্ষকদের ধোকা দিয়ে বলে আমার অফিসে নেই প্রকৌশলী অফিসে আছে। আগে আমি ম্যানেজ করে স্কুলে স্কুলে দিতাম এখন দিই না নিজের কাছে রেখে দিই। এ নিয়ে প্রায় সময় তার সাথে আনন্দ স্কুলের শিক্ষকদের চরম বাকবিতন্ডা চলে আসছিল। ঘটনার দিন এ নিয়ে আবারও কথা কাটাকাটি হয় শেষ পযনর্- ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে শিক্ষক হারুন ও পারভীন নামের এক শিক্ষিকার স্বামী শান- (২৫) পিতা আব্দুস সাত্তার সাং-বড়বেলালদহ নামে হয়রানি মূলক ১লক্ষ ৬২হাজার টাকা চুরির মিথ্যা মামলা দায়ের করে । মান্দা থানা মামলা নং-২২,তারিখ২৮-০৮-১১খী্রঃ ধারাঃ ১৪৩/ ৩৪১/ ৫০৬/৩২৩ /৩৭৯দঃবিঃ। অথচ ২ নং আসামী শান- ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না বলে জানা গেছে। ঘটনা স’লে কেউ উপসি’ত না থাকলেও ৪ জনকে স্বাক্ষী বানানো হয়। এর মধ্যে মামুন পিতাঃ আক্কাস আলী সাং- প্রসাদপুর এই নামে এলাকায় কেউ না থাকলেও চার্জশীটে তাকে ৫নং স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।স্বাক্ষী মফিজ মন্ডল(৫৫) পিতা মৃত ভেদু মন্ডল সাং-খুদিয়াডাঙ্গা এবং রফিকুল ইসলাম রফিক(৩০) পিতা মোঃ অছির উদ্দিন সাং-প্রসাদপুর কে না জানিয়ে মামলার তদন-কারী কর্মকর্তা এস আই শরিফুল ইসলাম ২৯-০৮-১১তারিখে থানায় বসে মোটা অংকের মুচলেকার বিনিময়ে মিথ্যা ও বানোয়াট জবান বন্দি রেকর্ড করে বলে উক্ত স্বাক্ষীরা জানান। যাদের স্বাক্ষী বানানো হয়েছে শহিদুল ইসলাম(৩৫) মৃত কছির উদ্দিন সাং-খুদিয়াডাঙ্গা,আকবর আলী (৬৮) পিতা মৃত আজরা, হাসান আলী (৫০) পিতা মৃত গজমুদ্দিন সর্বসাং-প্রসাদপুর, মান্দা, নওগাঁগণ কেউ কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। এছাড়া ঘটনা স’লে না এসেই তদন- না করেই অন্যান্য স্বাক্ষীদের নিকট কোন কিছু জিজ্ঞসা না করে তদন- কাজ মনগড়া ভাবে ৩০-০৯-১১তারিখে দ্রুত তৈরী করে এজাহার বর্ণিত সকল ধারা বহাল রেখে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন বলে জানা গেছে। তার ০১৭১৬-৩৮৯১৫৯ নং মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ছেলে ফোন রিসিভ করে কথা বলে। সমপ্রতি ডিসেম্বর মাসে মান্দা থানা থেকে বদলি হয়ে নওগাঁর ধামইরহাট থানায় যাওয়ার আগে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় কোন সত্যাতা না থাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট ঘটনার পুনঃ সুষ্ঠু তদন- কামনা করেন এলাকাবাসী ।

আরও পড়ুন...

বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য

এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …