23 Magh 1431 বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / প্রতিবেদন / নজরদারীর অভাব নওগাঁয় অবাধে হোটেলে নিম্ন মানের মাছ, মাংস ও পচা বাসি খাবার বিক্রি হচ্ছে।

নজরদারীর অভাব নওগাঁয় অবাধে হোটেলে নিম্ন মানের মাছ, মাংস ও পচা বাসি খাবার বিক্রি হচ্ছে।

এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁ জেলা শহর সহ ১১টি উপজেলায় খাবার হোটেলে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিম্ন মানের মাছ মাংস ও পচা বাসি খাবার দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। জানা যায়, নওগাঁ শহরের নামিদামি খাবার হোটেলে নিম্ন মানের মাছ, মাংস এমন কি মরা মুরগির মাংস খদ্দেরকে খাওয়ানো হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঐ সব হোটেলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বালাই নেই। অস্বাস’্যকর পরিবেশে দাপটের সঙ্গে ঐসব হোটেল মালিকগণ নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া খাবারে ভেজাল, তেলে ভেজাল সহ বিভিন্ন কায়দা কৌশলে অল্প দামের মিষ্টি লাউ ও কড়া ঝাল দিয়ে রান্না করে ঐসব খাবার পরিবেশন করে প্রায়ই অসুস’্য করে তুলছে প্রতিনিয়ত শত শত লোককে। নওগাঁ জেলা শহরের প্রশাসনের নাকের ডগার সামনে ঐসব হোটেল গুলি চললেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডাঃ সোলাইমান-আল-ফারুকির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, হোটেলে পচা বাসি ও অস্বাস’্যকর পরিবেশে রান্না এবং অতিরিক্ত মসল্লা ব্যবহারের কারণে স্বাসে’্যর জন্য ক্ষতিকর হওয়াই তিনি নিজেও হোটেলের খাবার পছন্দ করেন না। খাবার হোটেল গুলো নিয়মিত মুনিটরিং করার কথা বললে তিনি জানান, জনবল অভাবে সুষ্ঠ মুনিটরিং করা সম্ভব হয় না। অপর দিকে ভূক্ত ভূগিরা জানান, স্বাস’্য বিভাগকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে হোটেল মালিকগণ অবাধে প্রতিনিয়ত ভেজাল ও নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করছেন। প্রতিনিয়ত গরু ছাগল গুলি নোংরা জায়গায় জবাই করা হয়। এসব জবাইকৃত গরু ছাগল পূর্ব থেকেই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দ্বারা ডাক্তারি সনদ পত্র নেওয়ার বিধান থাকলেও কোন দিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঐসব বাজারে পা রাখেন না। জানা যায় মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে ঐসকল কর্মকর্তারা বাজার থেকে বিনা পয়সায় টাটকা ও তেজি মাছ, মাংস পেয়ে থাকে। এবিষয়ে নওগা হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবু রেজার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয় নি। নওগাঁ হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দীন পারভেজ জানান, আমরা বাজারে যে মাছ মাংস পাই সেটাই রান্না করে পরিবেশন করি। তবে কসাই পট্টি খোঁজ নিয়ে দেখা যায় রুগ্ন ভেড়া, ছাগল, গরু প্রতিদিন রাতে সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরেরদিন ঐসব রুগ্ন ভেড়া, ছাগল, গরু কসাইয়ের ছোরার আঘাতে এক নম্বার খাঁসি ও গরুর মাংসে পরিনত হয়। হোটেল ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে কম দামে ছাঁট মাংস ও মুরগির নারি ভূরি ক্রয় করে গরুর ভূরি হিসাবে হোটেলে চড়া দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল কর্মচারী জানান সব হোটেলেই মড়া মুরগি, রুগ্ন গরু, ছাগলের মাংস ও পচা ও বাসি খাবার পরিবেশন করা হয়। তাছাড়া হোটেল মালিকদের বেশি লাভ হয় না। জেলার ১১টি উপজেলায় এ ভাবেই চলছে হোটেল ব্যবসায়ীদের চমকপ্রদ প্রতারণা। অসহায় ও নিরুপায় হয়ে খদ্দেরা প্রতিনিয়ত ঐসব রুগ্ন মাংস ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া বিদেশী মুরগীগুলো ও পরীক্ষা ছাড়া বাজারে বিক্রয় হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বিষয়টি পাশ কেটে যাবার চেষ্টা করেন।

আরও পড়ুন...

বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য

এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …