এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁয় বোরো ধানের বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি। সদর উপজেলার কির্ত্তীপুর, বক্তারপুর, হাপানিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় ইতোমধ্যে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান- বীজতলায় বোরো ধানের চারা নষ্ট হতে শুরু করেছে। নওগাঁ কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলায় এবার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬২১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ১১ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। যা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো অধিক জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব হবে। সদরের হরিরামপরু গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান জানান, এবার বীজতলা তৈরী করার পর বীজ ফেলে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। চারা গজিয়ে একটু বড় হতেই শুরু হয় শৈত্য প্রবাহ। এত বীজতলায় চারা লালচে বর্ন ধারন করেছে। কিছু কিছু চারায় পচন ধরেছে। সদরের কির্ত্তীপুরের কৃষক মিলন জানান, তিনি শৈত্য প্রবাহের কয়েক দিন আগে বীজতলায় ধানের বীজ বপন করেছিলেন। তাঁর সদ্য গজিয়ে ওঠা ধানের চারা গুলো লালচে বর্নের হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী চারা গুলোকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চারা নষ্ট হয়ে গেলে হয় নতুন ভাবে বীজতলা করতে হবে অথবা চারা কিনে রোপন করতে হবে। নওগাঁ কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায, তাদের কাছে বীজতলায় কোল্ড ইনজুরির কোন তথ্য নেই। তবে ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শীতের কারনে বীজতলায় কোল্ড ইনজুরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজতলাকে রক্ষা করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলার ১১টি উপজেলায় এবারও নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী জমিতে বোরো্ ধান চাষ হবে বলে কৃষি দপ্তর ধারনা করছে। অপদিকে এই মৌসুমে ধান চাষে যে পরিমান ব্যয় হবে তা কৃষকদের জন্য নির্বাহ করা হবে কষ্টকর। । সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন, জলিলুর রহমান, গোলাম রসুল, মানিক, খলিলুর রহমান জানান, এমনিতেই ধানের দাম এবার নিম্নমূখী। গত বছরের খরচ এখনো ওঠেনি। সার, ডিজেল, বিদ্যুৎসহ সকল কৃষি উপকরনের দাম উর্দ্ধগতি। এবার কি ভাবে তারা ধান চাষ করবে তা নিয়ে শংকায় রয়েছেন। এর উপড় বীজতলায় কোল্ড ইনজুরি দেখা দেয়ায় সেই আশংকা আরো ঘনিভূত হয়ে উঠেছে। নওগাঁ কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষন বিশেষজ্ঞ আবুল হোসেন তালুকদার বলেন, যারা শৈত প্রবাহের দুই সপ্তাহ আগে বীজ তলায় বীজ ফেলেছেন তাদের বীজের কোন ক্ষতি হবে না। যে কৃষকরা শৈত প্রবাহের মধ্যে বীজ তলায় বীজ ফেলেছেন তাদের বীজ একটু লালচে বর্নের হয়েছে। তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, ওই রকম বীজ তলায় থিওভিট নামের ছত্রাক নাশক ওষুধ ষেপ্র করতে হবে। আর পূর্ব প্রস’তি হিসাবে বীজতলা পলিথিন দিয়ে রাতে ঢেকে দিতে হবে। অথবা রাতে চারা গুলো পানি দিয়ে ডুবিয়ে দিতে হবে যাতে বীজতলাা চারা গুলোয় কুয়াশা ও ঠান্ডায় আত্রান- না হয়।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …