এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে, পারিবারিক আপস মূলে তার পিতার পিতার জীবদ্দশায় কৃষ্ণপুর মৌজার ৫৫ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন’ এস,এ, এবং আর এস খতিয়ান তার পিতা ও বড়আব্বা ইব্রাহীম হোসেনের নামে সমান সমান অংশে রেকর্ড হয়। ১৯৭৩ সালের ২১ মে ইব্রাহীম হোসেন তার অংশের সমুদয় জমি ইসমাইল হোসেনের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। তিনি ৫৫ শতক জমি খারিজ করে হাল সন পর্যন- খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছেন। এর প্রায় ৩৯ বছর পর গত দেড় বছর আগে থেকে মৃত ইব্রাহীমের ছেলে হামিদুল ইসলাম ও তার ভগ্নিপতি বেতবহুতি গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে আবু তালেব অন্যায়ভাবে তাদের সে জমি জবর দখল করার নানান পায়তারা চালাচ্ছে। তার জমির দখল নিতে ব্যর্থ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানী করে আসছে। এনিয়ে একাধিকবার মহাদেবপুর থানা, রাইগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ ও এ্যাডভোকেটের নিকট বৈঠক করা হয়েছে। প্রতিবারই আজিজুল ইসলামেরা জমির রায় পেয়েছেন। কিন’ এর পরও হামিদুল ও আবু তালেব তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা থেকে বিরত হয়নি। আবু তালেব বাদী হয়ে আজিজুল, তার তিন ভাই সামসুল, ইলিয়াস, জিল্লুর, ভাতিজা সাজু, সাহিদ ও জুয়েল সহ সাত জনের বিরুদ্ধে গতবছর ১৫ অক্টোবর নওগাঁর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ মিস/১০(মহাঃ) নং ১০৭ ধারায় শান্তি ভঙ্গের মামলা দায়ের করলে আদালত তা চলতিবছর ১১ এপ্রিল খারিজ করে দেন। তারা নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪২২মিস/১০(মহাঃ) নং ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করলে সেটিও খারিজ হয়। গতবছর ৬ সেপ্টেম্বর এব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় ২৫১ নং সাধারণ ডাইরি এন্ট্রি করা হয়। গতবছর ২০ জুলাই নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, আমলী আদালতে ২০২সি/২০১০ নং মারামারির মামলা দায়ের করলে গত ১৭ নভেম্বর তা খারিজ হয়। সবশেষ মামলাটিও খারিজ হবার খবর পাবার সাথে সাথেই তারা এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে থানায় বসে জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন’ আজিজুলেরা রাজী না হলে কোনদিক থেকে না পেরে সেদিনই সন্ধ্যায় মহাদেবপুর থানায় ১১ নং ধান চুরির মামলা দায়ের করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঐ রাতেই আজিজুলের ভাই আতোয়ারকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ২০ নভেম্বর ঐ মামলায় ২২ জন আসামীর সকলেই জামিন পান। আজিজুল তার জ্ঞাতি ভাইয়ের দ্বারা এমন হয়রানীর হাত থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে রাইগাঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাখখারুল ইসলাম মুকুল ২০ নভেম্বর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে আলোচনা করেন। ঐ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম মঞ্জু জানান, থানার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিষয়টি তদন- করে দেখেছেন। শুরু থেকেই ৫৫ শতক জমি আজিজুলের পিতা দখল ভোগ করতেন। ভূলবশতঃ তাদের দুই ভাইয়ের নামে রেকর্ড হলে হামিদুলের পিতা তার অংশের জমি হস্তান্তর করার পরও সে জমি দাবী করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে একটি পরিবারকে হয়রানীর জন্য তার শাসি- হওয়া উচিৎ। এব্যাপারে অভিযুক্ত হামিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবী করেন যে, তার পিতার নামে জ্বাল দলিল বের করা হয়েছে। কিন’ তিনি সে দলিলের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে কোন মামলা দায়ের না করে কেন বারে বারে ফৌজদারী মামলা দায়ের করছেন সে ব্যাপারে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
Home / প্রতিবেদন / নওগাঁর মহাদেবপুরে জমি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ
আরও পড়ুন...
বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য
এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …