প্রশাসন নিবর নওগাঁর মান্দায় সরকারি গাছ কেটে হাটের জায়গায় ঘর নির্মাণ

এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর সদর হাটের চৌরাস্তার মোড়ে সরকারি হাটের জায়গায় দীর্ঘদিনের হাটুরেরদের উচ্চেদ করে ও সরকারি গাছ কেটে ফেলে পাকা মার্কেট নির্মান করেছেন মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাটের ইজারদার আলহাজ্ব এমদাদুল হক মোল্যা। ইতোমধ্যেই সেখানে ৫টি পাকা দোকানঘর তৈরী করে তার পিছনে একটি বটগাছ কেটে ফেলে সেখানে গুদাম ঘর তৈরীর প্রক্রিয়া অব্যাহক রেখেছেন। এভাবেই তিনি স’ানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাটের সরকারি জায়গা জবরদখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে মান্দায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের হাতে গোনা কয়েক নেতা সকল ক্ষেত্রে জবর দখলের যে তান্ডব অব্যাহত রেখেছেন তা বিগত জোট সরকারের নেতা কর্মীদের লুপাট ও দখলদ্বারিত্বকেও হার মানিয়েছে বলে সেখানকার আওয়ামীলীগের বেশ কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছেন। তাদের মতে, এমনটি চলতে থাকলে স’ানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে আশংকা দেখা দিয়েছে। এদিকে হাটের সরকারি জমি জবর দখল করে পাকা দালান ঘর নির্মান সম্পর্কে জানতে চাইলে মান্দার ইউএনও মুন্সী মুনিরুজ্জামান সরকারি হাটের জায়গায় পাকা দালানঘর নির্মানের কথা স্বাীকার করে জানান, হাটের সরকারি জায়গা বৈধভাবে দেয়া না গেলে অবৈধভাবে লোকজন তো দখল করেবই। অবৈধ নির্মানকারীর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, লাইসেন্সধারী ইজারাদার হাটে পাকা দালানঘর নির্মান করছেন বলে তিনি শুনেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার সামনে সরকারি জমি দখল হলেও কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি তার অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুর হক মোল্যা ও সাধারণ সম্পাদক সরদার জসিম উদ্দিনের সেল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে দু’টি ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এাডভোকেট ফজলে রাব্বী বকুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারি অনুমোদন স্বাপেক্ষে কোন ইজারাদার তার ইজারা আদায়ের জন্য ১ বছরের জন্য ঘর তৈরি করতে পারে। কিন’ কোন দালানঘর নির্মানের বা নিজস্ব মার্কেট নির্মানের কোন এখতিযার রাখেন না। আর এটি করা হলে শুধু দলের নয়, সরকারেরও ভাবমুর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তিনি বিষয়টি খোঁজ  নিচ্ছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।