নওগাঁয় চলছে রমরমা অবৈধ জুয়েলারি ব্যবসা

নওগাঁ (ধামইরহাট) প্রতিনিধি: সোনার দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে একদিকে যেমন গড়ে ওঠেছে অবৈধ লাইসেন্সবিহীন শত শত জুয়েলারি দোকান, অপরদিকে সোনার ভেজাল দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা হচ্ছে অহরহ প্রতারিত। এদিকে সোনা-রূপা গলানোর কাজে যত্রতত্র নাইট্রিক এসিড ব্যবহারের ফলে আশপাশের পরিবেশ দুষিত হয়ে উঠলেও প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলার বেশিরভাগ জুয়েলারি দোকানের নেই কোন বৈধ লাইসেন্স। আবার কেউ কেউ বিনা অনুমতিতে নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে বন্ধকী ও সুদের ব্যবসা। সোনার দাম আকাশ চুম্বি হওয়ায় অনেকেই সোনা কেনার পরিবর্তে সেনার দোকানিদের কাছে গহনা বন্ধক রাখছে। বিনিময়ে দোকান মালিকরা ইচ্ছে মত মোটা অঙ্কের সুদ আদায় করে নিচ্ছে। সোনা রূপা গলিয়ে রকমারি গহনা তৈরির জন্য এসিডের ধোঁয়া যাতে শূন্যে উড়ে যায় এজন্য উক্ত কক্ষের উপর প্রযুক্তিমতে উঁচু চিমনী থাকতে হবে। পৌর শহরের অল্প কিছুসংখ্যক দোকানে এ অবস’া দেখা গেলেও সিংহভাগ দোকানেই তা নেই। এসিড লাইসেন্স আইন ২০০২ এর বিধান মতে খোলামেলা এসিড ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অস্বস্তিকর পরিবেশ এড়ানোর জন্য অনেকেরই বাসার দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হয়। এদিকে জেলার প্রায় সোনার দোকানে ভেজাল মিশ্রিত স্বর্ণালংকার বিক্রি ও ওজনে কারচুপি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে রেডিমেড দোকানগুলোই এগিয়ে আছে। বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, খৎনাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্রেতারা এসব দোকান থেকে চড়া দামে স্বর্ণসামগ্রী ক্রয় করলেও এতে ভেজাল মিশ্রিত থাকে। নওগাঁ সদর থানার বোয়ালিয়া গ্রামের রফিকুল বলেন, আমি জন্মদিনের জন্য ১টি আংটি আনার কিছুদিন পর দেখি সোনার রং ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে একজন  স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, দিন দিন সোনার দাম বৃদ্ধির সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাদের পরিমান বেশি মিশিয়ে সোনায় ভেজাল করে দিচ্ছে। এ বিষয়ে নওগাঁ জেলার স্বর্ণকার সমিতির সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান সোনার দাম বেশী হবার কারণে ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়াই অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। এছাড়া জীবিকা নির্বাহের তাগিদে অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বর্ণ বন্ধক রেখে ব্যবসা করছে বলে তিনি আংশিক স্বীকার করেন।