নওগাঁর মান্দায় দেড় মাসেও সাইফুল হত্যা কান্ডের রহস্য উৎঘাটন হয়নি

এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর মান্দায় গরু ব্যবসায়ী যুবক সাইফুল ইসলাম হত্যাকান্ডের প্রায় দেড় মাস পার হলেও পুলিশ এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি। পুলিশ ইতোমধ্যে এ হত্যাকান্ডে জড়িত সাইফুল ইসলামের ব্যবসায়িক পার্টনার রেজাউল হক ও তার স্ত্রী তসলিমা বিবিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তাদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বলছে মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। অচিরেই এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটিত হবে।
উল্লেখ্য গত ৬ অক্টোবর রাতে মান্দা উপজেলার সতীহাটের গরুহাটি সংলগ্ন তরকারি বাজারের গরু ব্যবসায়ী গনেশপুর গ্রামের ছাকবর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮) দুষকৃতিকারীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল্লাহ জানান, আসামীদের রিমান্ডে এসে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। অচিরেই এ হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
গনেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী জানান, পুলিশের ঢিলেঢালা তদন্তে প্রকৃত আসামিরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে যে ঘরে হত্যা করা হয় পুলিশওই ঘরটি সিলগালা করেনি। এছাড়া ওই ঘরের মালামাল ও হত্যার আলামত জব্দ করেনি। এবং পুলিশ তাদের জব্দ তালিকাতে ওই ব্যবসায়ীর গরু ৪টি গরু বর্তমানে আছে তা উল্লেখ নাই। ফলে সাইফুল ইসলামের পিতা ওই গরু ৪টি ফেরতের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।  জানা য়ায় গরু ৪টি বর্তমানে স’ানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রয়েছে। ওই গরু ৪টি উদ্ধারের জন্য নিহতের পিতা গত ২১ নভেম্বর নওগাঁ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের কেরেছেন। এ ব্যাপারে নওগাঁ পুলিশ সুপারের সঙ্গে সেল ফোনে কথা বললে তিনি মামলাটি জরুরীভাবে খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।