যদি পাখির গ্রাম দেখতে চাও তাহলে হাসানপুরে চলে যাও

এনবিএন ডেক্সঃ যদি পাখির গ্রাম দেখতে চাও তাহলে হাসানপুরে চলে যাও। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাসান পুর গ্রামকে গ্রাম বাসী  পাখির অভয়ারন্য হিসাবে গড়ে তুলেছেন । পাখি গ্রাম হিসাবে সরকারী ভাবে ঘোষনা দেওয়ার দাবী জানিয়েছে এলাকা বাসী। ইতিমধ্যে এ গ্রামকে পাখির অভয়ারণ্য গ্রাম হিসাবে ঘোষনা দিয়েছে স’ানীয় এমপি ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী। গ্রামের  মানুষের স্ব উদ্যেগে পাখি শিকার রোধে নেওয়া বিভিন্ন শ্লোগান আর ও নিজ সহায়তায় গড়ে তোলা অভয়ারন্য   হাজার হাজার দেশী ও বিদেশী  পাখির আগমন ঘটায় পাখির কিচির মিচির শদ্ধে এলাকা বাসীর ঘুম ভাংছে । জেলা শহর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মনোরম এ পরিবেশ দেখতে প্রতিদিন শ’ শ পাখি প্রেমিক মানুষ হাসান পুর গ্রামে ভীর করছে ।  গ্রামে ঢুকার আগে গাছে বিভিন্ন পাখির আদলে সাইন বোর্ড লাগিয়ে সেখানে সচেতন মুলক উপদেশ লেখা হয়েছে, পাখি শিকার করবেন না! পাখি মারবেন না! ওরাও আমাদের মত বাঁচতে চায়। পাখি এ সমাজের পরম বন্ধু। তাদেরকে আগলে রাখতে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে । নওগাঁর মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের সেই পাখির কলতারে মুখর গ্রামটি হাসানপুর। দেখা যাবে বড় একটি সাইন বোর্ড ঝুলানো আছে পাখি শিকার মুক্ত এলাকা হিসাবে গ্রাম টিকে ইতি মধ্য ঘোষনা করা হয়েছে।স’ানীয় সাংসদ ড. আকরাম হোসেন গ্রামটি পরিদর্শন কওে পাখি গ্রাম হিসাবে মৌখিক ভাবে ঘোষনা দিলেও গ্রাম বাসীর দাবী সরকারী ভাবে এ ঘোষনা দেওয়া হোক ।  পান কৌড়ি,ডাহুক,রাতচোড়া, মাছরাংগা সহ  অসংখ পাখির বসবাস এগ্রামের ১০ বিঘাপরিমান জলাশয়ে। পাখির মেলায় যেন গ্রামটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। গ্রামের সব মানুষ গুলো যেন এই পাখিদের আগলে রেখেছে। ২০০৬ সালে পাখির প্রতি প্রগাঢ় ভাল বাসা নিয়ে সোনালী সংসদের নিয়ে পাখির অভয়ারন্য গড়ে তোলার উদ্যেগ নেন সংস’ার সভাপতি মো: হেফজুল ইসলাম । এরপর  কোন শিকারি ভুলক্রমে এ গ্রামে প্রবেশ করলে সোনালী সংসদের সদস্যদের হাতে শিকারিদের হেনসত্ম হতে হয়, নানা প্রশ্নের মুখে তাদেরকে পড়তে হয়। এ গ্রামের ছেলে-মেয়ে, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা সবাই যেন এ পাখিগুলোর সাথে ভাব জুমিয়েছে। সংস’ার সভাপতি মো: হেফজুল ইসলাম জানান, গ্রামবাসী দীর্ঘ দিন থেকে এই  পাখিগুলোকে  সনত্মানদের মত লালন পালন করে আসছে। ঝড়-ঝাপটায় কোন পাখির বাচ্চা পড়ে গেলে গ্রামের যে কোন ছেলে-মেয়েরা বাচ্চাগুলোকে যত্ন সহকারী মা পাখিদের বাসায় পোছে দেয় ।