এনবিএন ডেক্স: দীর্ঘ ৮ বছর পরও ধামইরহাটে দু’টি প্রকল্প বাস্তবের মুখ দেখেনি। এ দু’টি প্রকল্প একটি ধামইরহাট সাবরেজিস্ট্রি অফিস অপরটি আত্রাই নদীর উপর তকিউদ্দীন সেতু। এ দু’টি প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ ৮ বছর আগে শুরু হলেও থেমে থেমে কাজ করায় শেষ হলেও শেষ হল না। প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পিডব্লিউ’র সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নির্মান কাজ শুরু হয় ২০০৩-২০০৪ সালের দিকে। ঘরদোর সবি তৈরি হয়েছে শুধু মেঝে ও বাউন্ডারি ওয়াল এবং মটি ভরাটের অভাবে এটি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পরে আছে। এদিকে ধামইরহাট সাবরেজিস্ট্রি অফিস চলছে এক ভারা করা নড়বরে টিনের ছাইনি বিশিষ্টি খুপড়ি ঘরে। দলিল লেখক ছাউনি এখান থেকে অনেক দূরে হওয়ায় এর নিত্য দিনের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তাছারা স্যাঁতসেঁতে মেঝের কারনে বালাম বই রেকড রুমের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট করে। এ অবস্তায় সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কাজ চলছে অথচ এ অফিস থেকে প্রতি বছর সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকেন। অন্য দিকে এ উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আত্রাই নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম তকিউদ্দীন সেতু। যা উপজেলার ধামইরহাট-আগ্রাদ্বিগুণ সড়কপথে আত্রাই নদীর উপর চৌঘাটে নির্মিত। প্রায় ২কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দে গত ২০০৪ সালের দিকে এর নির্মান কাজ শুরু হয়। এ পর্যন- খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাত্র ১১ টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং কিছূ অংশ পাটাতন ঢালাই হয়েছে। রড সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে মাঝখানে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এ সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ থাকে, বর্তমানে কাজ ধির গতিতে চলছে। এ সেতুটি ধামইরহাট উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলীয় তিনটি ইউনিয়নসহ ধামইরহাট,পত্নীতলা, সাপাহার উপজেলাসহ জয়পুরহাট,নওগাঁ ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সড়ক সংযোগের গুরুত্বপূর্ন সেতু হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। অথচ এই সেতুটির কারনে ২ থেকে ৩ লক্ষাধিক মানুষ ভোগানি-র শিকার হচ্ছেন। সেতুটির কাজ শেষ হলে এবং সেতুটি নির্মান হলে নতুন করে ধামইরহাট প্রাণ ফিরে পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল মত পোষন করেছেন। তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন...
বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য
এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …