এনবিএন ডেক্স: নওগাঁয় চালের দাম প্রতি বসত্মায় কমেছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। মোটা চাল কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা কমেছে। চালের দাম কমায় দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে স্বসিত্ম ফিরে আসলেও ব্যবসায়ীরা লোকসানের হতাশাই রয়েছেন। নতুন ধান কাটা শুরম্ন হওয়ায় এবং সরকারি ওএমএস চাল বিক্রির ফলে চালের বাজার কমে এসেছে বলে ক্রেতা বিক্রতাদের অভিমত। চাল ব্যবসা প্রসিদ্ধ নওগাঁর সদর এলাকা ঘুরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে মোটা চালের বসত্মা (৫০ কেজি) ১৯শ টাকা থেকে ১৮শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫শ টাকা থেকে ১৬ টাকায়। খুচরা বাজারে যে মোটা চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা সে চাল এখন ২৭ থেকে ২৯ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা চাল ব্যবসায়ী পরিমল জানান, গ্রামে কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছে। নতুন ধান ওঠার কারণে চালের বাজার কমে গেছে। এছাড়া সরকার ওএমএস চালও বিক্রি করছে। এখন চালের বিক্রি তেমন একটা নেই। তিনি বলেন, পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলে চালের দাম আরো কমে যাবে। আগে প্রতিদিন এক বসত্মা চাল বিক্রি হতো, এখন সেখানে এক বসত্মা চাল বিক্রি করতে তিনদিন সময় লাগছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্রামের লোকজন ধান কেটে নতুন চালের ভাত খাচ্ছেন। তিনি বলেন, এ কারণে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। ভ্যানচালক খায়রুল বলেন, চালের দাম কম থাকায় তিনবেলা পেট পুরে খেতে পারছি। তা না হলে দু’বেলা ভাত খাওয়া দায় হতো। চালের আড়তদার ওসমান বলেন, আগে যেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ট্রাক চাল বিক্রি হতো, এখন ২ ট্রাক চালও বিক্রি হয় না। চাহিদা অনেক কমেছে এবং প্রতিদিন শ’শ” টাকার লোকশান গুনতে হচ্ছে। আবার কৃষকেরা বলছেন, ধান চালের দাম কমে যাওয়ায় সার-ফসফেট, কীটনাশক ও মজুরীর খরচ তুলতেই বড় রকমের লোকশানে পড়তে হবে। সব মিলে কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসূমে ন্যার্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পারলে বোরো চাষে আগ্রহ হারাবে এবং অনেক চাষী অভাব-অনটনের মধ্যে পড়বে।#
Home / অর্থনীতি / নওগাঁয় চালের দাম প্রতি বসত্মায় কমেছে ২০০ টাকা নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে স্বসিত্ম ব্যবসায়ীরা হতাশাই
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় এন আর বি সি ব্যাংকের ২২ তম শাখার শুভ উদ্বোধন!!
এনবিএনডেক্স: নওগাঁয় এন আর বি সি ব্যাংক (এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড) এর ২২ তম শাখা …