15 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সারাদেশ / স্বরূপকাঠির দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্বাঞ্চল আবারো অশান- গাজাখোররা বেপরোয়া: ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বানিজ্য

স্বরূপকাঠির দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্বাঞ্চল আবারো অশান- গাজাখোররা বেপরোয়া: ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বানিজ্য

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ স্বরূপকাঠি উপজেলার দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্বাঞ্চল আবারো অশান- হয়ে ওঠতে শুরু করেছে। ওই অঞ্চলের পলাশ ও নয়ন বাহিনীর প্রকাশ্য তৎপরতা তেমন একটা না থাকলেও থেমে নেই তাদের কর্মকান্ড। সরকারী দলের পরিচয় ব্যবহার করে কয়েকজন পাতিনেতার যোগসাযোশে গাজা, ইয়াবাসহ মাদক বিক্রি ও সেবন চলছে অবাদে। নারী নির্যতন, নারী ব্যবসা, শালিসীর নামকরে টাকা আদায করা, সরকারী রাস্তার গাছ কাটা, টিউব ওয়েল বা বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেয়া, জমির মিউটিশন করার কথা বলে টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কমিটি প্রধানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই কাজ না করা, মসজিদের নামে উঠানো টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও সমপ্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিঁধেল চুরি। সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে জানাযায় নানা কথা। উপজেলা সদর থকে দুর্গম পথের ওই এলাকায় যেতে নৌ ও হাটা পথে সময় লাগে দুই থেকে ৪ ঘন্টা। যার সুযোগে একসময় ওই এলাকাটিকে সন্ত্রাসের সর্গরাজ্যে পরিনত করেছিল নয়ন আর পলাশ বাহিনী। তারা চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, দিনের বেলা মাটে চড়ানো অন্যের গরু বিক্রি করে দেয়া, মাঠে চড়ানো ছাগল জবাই করে সেখানেই রান্না করে খাওয়াসহ হেন অপরাদ নেই যা তারা করেনি। এদের সাথে যোগ হত পার্শবর্তী ঝালকাঠী উপজেলার সন্ত্রাসীরা। স্বরূপকাঠি থেকে তাড়া করলে ঝালকাঠি থানায় ঢুকে অবস্থান নিত আবার ঝালকাঠি থেকে তাড়া করলে স্বরূপকাঠি অঞ্চলে স্থান গাড়ত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে নয়ন আর পলাশ গ্রেফতার হলে কিছুটা সসি- পায় এলাকার মানূষ। জেল থেকে বেরিয়ে বর্তমান সরকার দলীয় কিছু পাতি নেতার সহায়তায় তারা কিছুটা অশান- হলে এলাকার সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলমের দৃঢ়তার কারনে নয়ন গাজী গ্রেফতার হয়। গোটা স্বরূপকাঠির সাথে ওই এলাকাটিও এযাবৎ শান- ছিল। জেল থেকে বেরিয়ে কিছুদিন শান- থাকলেও সমপ্রতি নয়ন গাজীর নেতৃত্বে দুর্গাকাঠির সোহেল, মৈশানীর রাজ্জাক গাজী, মনিরসহ ওই বাহিনী আবারো তৎপরতা শুরু করেছে। তারা কয়েক দিন আগে মৈশানী মাদ্রাসার শিক্ষক মোয়াজ্জের হোসেনের ছেলের একটি ঘটনায় বিচারের নামে ১০ হাজার টাকা নিয়ে নিজদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করেছে। তারা মৈশানী মাদ্রাসার ঘাটলায় সার্বক্ষনিক অড্ডা দেয়ার কারনে এলাকায় আবারো ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্জাক গাজীর বাড়ীতে কোন লোকজন না থাকায় সেটাকে রঙ্গলীলা খানা বানিয়ে রাতদিন আড্ডা চলে বলে জানাযায়। মুক্তাহার ফিরোজের দোকান, বহরমপুরে সুকেশের দোকান, জুলুহার বাজার থেকে শশীদ বাজার পর্যন- বেশ কটি স’ানে মাদক বিক্রেতা, গাজা খোর আর সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানার সৃষ্টি হয়েছে। ওই বাহিনী ছাড়াও মনিশংকর, বন্ধু, পলাশ, জাহীদ, ডিলন নামের ক’জন ওই এলাকার মাদক ও জুয়ার আড্ডা নিয়ন্ত্রন করে। হিন্দু প্রধান ওই এলাকায় ছোট খাটো চুরির কথা ভুক্তভোগীরা পারত পক্ষে বাড়ীর বাইরে প্রকাশ করতে চায না। কারন রাতের চুরির বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তদবীরবাজদের খরচ মেটাতে গলদঘর্ম হতে হয়। ডাবল খোয়ানোর চেয়ে চেপে যাওয়াটাকেই শ্রেয়মনে করেন তারা। তাছাড়া পাতিনেতাদের সহায়তার নামে প্রতিপক্ষ ঘায়েলের চালে পড়ে ভুক্তভোগীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ওইসব পাতি নেতাদের গড ফাদার হিসেবে মুখ্য দায়ীত্ব পালন করছেন জুলুহারের জাকির হোসেনসহ সেহাংগল, সাগকান্দা ও জুলুহার এলাকার দু’চার জন পাতিনেতা।জাকির হোসেন সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গাছ কাটার ঘটনাও ঘটায়। ওই ঘটনার শিকার হযে গাছ কাটার শ্রমিক আজো মামলায় ঝুলছেন। সে বিভিন্ন মানুষকে টিউবওয়েল দেযার নামকরে, জমির মিউটিশন করার কথা বলে, মসজিদের নামে বরাদ্ধ করা টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, এমনকি দু’টি প্রকল্পের কাজ করার কথা বলে প্রকল্প চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা নিযে অর্ধেক কাজ করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ওই কর্মাচারী নানা তদবীর বানিজ্য চালানোর জন্য অফিসে না গিয়ে সার্বক্ষনিক উপজেলা সদরেই থাকেন। এ বিষয়টি ভুতপূর্ব নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরুজ্জামানের সামনেই প্রমান করা হয়। তিনি সাবধান হতে বললেও জাকির থোড়া তোযাক্কা করছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান জুলুহার বাজার এলাকায়, জুলুহার-শশীদ সড়কের মেসন্ডা এলাকা, মৈশানী, সাগরকান্দা এলাকার বিভিন্ন দোকানে গাজা ও ইয়াবা সেবনকারীদের সার্বক্ষনিক আড্ডা এলাকাবাসীকে অসি’র করে তুলেছে। স্কুল, কলেজ গামী মেযেদের উত্যক্ত করা, দিনের বেলা প্রকাশ্যে কেরাম খেলার নামে টাকার খেলা, বিভিন্ন স’ানে তাস খেলার নামে জুয়ার আড্ডা বসানো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত হচ্ছে যুবক, কিশোর থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ লোকেরাও। চিহ্নিত কিছু গাজা খোরদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুল কলেজ গামী ছাত্ররা। যেসব পরিবারের লোকজন এর সাথে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পায়না এলাকার সাধারন মানুষ।

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান”এ প্রতিপাদ্যে নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়েছে। …