1 Joishtho 1431 বঙ্গাব্দ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / কৃষি সংবাদ / নওগাঁয় পাটের মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি

নওগাঁয় পাটের মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি

এনবিএন ডেক্স: নওগাঁ জেলায় চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন ও বাজারে দাম বেশি থাকায় এবার চাষীরা খুবই খুশি। গত মৌসুমে এ জেলায় ভালো ফলন হওয়ার পরও প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পাট পচাতে না পারায় অনেক কৃষক আর্থিকভাবে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েন। প্রতি বিঘা জমির পাট পচানোর জন্য কমপক্ষে ৫ কাঠা পরিমাণ জমিতে পর্যাপ্ত পানি দরকার হয়। ওই পানি ২ সপ্তাহ স্থায়ী হলে তবেই পাটগুলো ভালোভাবে পচানো সম্ভব। গত বছর এ সময় পানির অভাবে অনেকের পাট জমিতেই শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এ পরও কৃষকরা অধিক মুনাফার আশায় গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি পরিমাণ জমিতে পাট আবাদ করেছেন। প্রকৃতিও এবার কৃষকদের হতাশ করেনি। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত কৃষকদের আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়ায় কৃষাণ-কৃষাণীরা মহাব্যসত্ম সময় কাটাচ্ছেন নদী-নালা, পুকুর, খাল-বিল ও জলাশয়ে পাট পচানো এবং আঁশ ছাড়ানোর কাজে। বাজারে ভালো দামসহ অনুকূল আবহাওয়ায় কৃষকরা এবার ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়েন পাট চাষে। এর ফলও পাচ্ছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। জেলার সব মাঠেই কমবেশি পাটের আবাদ হয়েছে। মহদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউপির ঈশ্বরপুর গ্রামের মৃত সরদার ডাঃ আজগর আলীর পুত্র কৃষক পান্‌জুর রহমান জানায়, তিনি এ বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছেন। তার জমিতে বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ পাট উৎপাদন হয়। তিনি জানান, স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে ১ হাজার ৫শ থেকে ১ হাজার ৬শ টাকায় প্রতিমণ পাট বিক্রি হয়েছে। একই গ্রামের মৃত গয়েস আলীর পুত্র সিদ্দিক জানান, তিনি সোয়া বিঘা জমিতে পাটচাষ করে এবার ১৬ মণ পাট উৎপাদন করেছেন। পাটের ফলন ও হাটবাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা খুশি বলে তারা জানান। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় গত মৌসুমে ৬৫০০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়। চলতি মৌসুমে তা বৃদ্ধি পেয়ে পাটচাষের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭০০ হেক্টরে। নওগাঁ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্বাস আলী জানান, কৃষকদের মাঝে ভালো বীজ সরবরাহ এবং সরকারিভাবে বিপুল সহায়তা পাওয়ায় এ জেলার কৃষকরা পাট আবাদে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠেছে।#

আরও পড়ুন...

খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত করা হবে: নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

এনবিএন ডেক্সঃ  খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে …