এন বিএন ডেক্সঃ নওগাঁয় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে প্রনোদনা কর্মসূচিন আওতায় হাইব্রিড বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদে রাইস ট্রান্সপ্লন্টারের সাহায্যে ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে পত্নীতলা উপজেলার গগনপুর মাদ্রাসাপাড়া মাঠে উপজেলা কৃষি অফিস এই উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রুমনা আফরোজ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গাফফার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. আবু হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা সমলয় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে রোবো ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রুমনা আফরোজ বলেন, এখানে আমরা এমন একটি পদ্দতি ব্যবহার করছি যে পদ্ধতি ৩২ঘন্টার কাজ রাইস ট্রান্সপ্লন্ট এই যন্ত্রের মাধ্যমে এক ঘন্টায় করতে পারবো। আমরা এত অল্প শ্রমে অধিক ফসল উৎপাদন করে মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিতে পারবো। এত সুন্দর ও চমৎকার একটি পদ্ধতি হাতে নেওয়ার জন্য প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. আবু হোসেন বলেন, সমলয় এর মূল উদ্দেশ্য হলো মেকানাইজেশন এবং শ্রম ও সময় বাঁচিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করা। শ্রমিক দিয়ে এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে ৪জন কৃষকের এক দিন সময় লাগে। আর রাইস ট্রান্সপ্লান্ট মিশন দিয়ে এক ঘোন্টা এক বিঘা জমি রোপন করা যায়। যেখানে সময় ও শ্রম দুইটি সাশ্রয়ী হবে। ৬১জন চাষির ৫০ একর এবং ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে প্রণোদনার মাধ্যমে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে। এখানে চারা রোপন থেকে শুরু করে পরিচর্যা, ফসল মারাই সব কিছুই করবো আমরা সমলয় পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতি সাশ্রয়ী হলে কৃষকেরা সহজভাবে গ্রহন করবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গাফফার বলেন, মিশনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। এইটা এলাকায় আলোরন সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার কৃষক এই পদ্ধদিক দিকে তাকিয়ে আছে। আগামীতে উৎপাদন বাড়লে এলাকার সবাই এই পদ্ধতি গ্রহন করবে। এই পদ্ধতি বাংলাদেশে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। উৎপাদন বাড়লে দেশে খাদ্য ঘার্তি অনেকাংশে কমে যাবে।
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় সীমানা প্রাচীরের দ্বন্দে প্রাচীর ভাংচুর ও মারপিট
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় সীমানা প্রাচীরের বিরোধের জের ধরে ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে নির্মাণাধীন ইটের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর …