পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ আমনের চরম বীজ সংকটে দিশেহারা উপজেলার কৃষককূল। চলতি বর্ষা মৌসুমে আতিবৃষ্টি এবং পরপর ২/৩বার নিন্ম চাপের প্রভাবে পনিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বীজতলা নষ্ট হ্ওয়ায় বীজ সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবদ্ধতায় ক্ষেতের পাকা ও আধাপাকা আউশ ধান নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। বীজ সংকটের কারনে বীজ মূল্য দিন দিন আকাশচুম্বী হচ্ছে আউশ ধান না পেয়ে এখন আবার অগ্নীমূল্যে আমনের বীজ ক্রয় করতে কৃষকদের ধার দেনা করতে হবে। ফলে এবছর হাজার হাজার একর ভূমি অনাবাদি থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুম ভারী বর্ষন দিয়ে শুরু হলে কৃষকদের মধ্যে সেচের পানি না লাগার আশার সঞ্জার হয়েছিল। কিন’ কৃষকদের সে আশা ফিকে হয়ে যায় অতিবৃষ্টি এবং পরপর ২/৩ বার নিন্ম চাপের প্রভাবে পানিবদ্ধাতার কারনে প্রায় ৫/৬ফুট পানিতে তলিয়ে যায় বীজতলাসহ ফসলের ক্ষেত। অপরিকল্পিত সুইজগেট ও বেরিবাদ নির্মান এবং সুইজ গেটের যথাযথ রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে পানি নিষ্কাশন হতে না পেয়ে পানিবদ্ধতার সৃাষ্ট হয়েছে পানিবদ্ধতার হাত থেকে কৃষকেরা তাদের বীজতলা রক্ষা করতে পারেনি। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ১টি পৌরসভা সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৪শত ৫০হেক্টর জমিতে আমনের বীজ তলা করা হয়েছে। পানিবদ্ধতায় প্রায় ৫০ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বীজ সংকটে ১টি পৌরসভা সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে নীরব হাহাকার চলছে। উপজেলার ছোটহারজী গ্রামের মোঃ শাহীন জনান তিনি ৮-কাঠি(২৬কেজিতে ১কাঠি) ধানের বীজ তলা করেছিলাম। পানিতে নষ্ট হ্ওয়ার পর মাত্র ১কাঠি ধানের বীজতলা আছে। যাদিয়ে তার আমন আবাদ হবে না। পার্শ্ববর্তী স্মরনখোলা উপজেলায় বীজ ক্রয় করতে গিয়ে অগ্নী মূল্যের কারনে বীজ ছাড়াই খালি হাতে ফিরে এসেছে শাহীন। নাগ্রাভাংগা গ্রামের দরিদ্র বর্গা চাষী মোঃ হামিদ মোলা জানান তার প্রায় ১কাঠি ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে ভেচকী গ্রামের বর্গা চাষী হযরত আলী জানান ধারদেনা করে সারে ৭হাজার টাকায় বীজ ধান কিনে বীজতলা করেছিল। পানিতে বীজতলা সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। মাথায় দেনার বোঝা তারপর বীজের চিন্তায় হযরত আলী ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বীজ সংকটের সুযোগ নিয়ে বীজ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত মূল্য বৃদ্ধি করে হাতিয়ে নিচ্ছে দরিদ্র কৃষকের শেষ স্মম্বল গত বছর ১ কাঠি ধানের বীজ ১হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবছর তা ১০থেকে ১২হাজার টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছ। বীজ সংকটে এবছর আমন আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হবার আশংকা দেখা দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস এবছর আমন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছে ২১হাজার ৬শত ৮৯হেক্টর জমি। বীজ সংকট অব্যাহত থাকলে প্রায় ৫হাজার একর জমি অনাবাদী থাকবে। উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা মোঃ শহিদুলাহ বীজ সংকটের কথা স্বীকার করে কিছু জমি অনাবাদী থাকবে বলে জানান। তিনি কৃষকদের ৭/৮বীজের পরিবর্তে ৩/৪বীজ গুছি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী দুরত্বে রোপনের পরামর্শ দেন। বীজ সংকট নিরসনে সরকারী কোন উদ্যোগ নেই বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান। এ দিকে পানিবদ্ধতায় ক্ষেতের পাকা ও আধাপাকা আউশ ধান নষ্ট হয়ে যা্ওয়ায় এবার আউশ উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। কৃষি অফিস ১৬হাজার ১শত ৩০মেঃ টন চাল উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছিল। উৎপাদন হয়েছে১২হাজার ৪শত ১০ মেঃ টন চাল। বীজ সংকটের কারনে এবার আমন উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে না বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। এবছর ৪০হাজার ৬শত ১৫মেঃ টন চার উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান”এ প্রতিপাদ্যে নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়েছে। …