7 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / জাতীয় সংবাদ / উত্তরাঞ্চলে শিথিল হয়ে পড়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম

উত্তরাঞ্চলে শিথিল হয়ে পড়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম

এনবিএন ডেক্স: উত্তরাঞ্চলে শিথিল হয়ে পড়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। ফলে প্রতি বছর দেশে মানুষ বাড়ছে ২০ লাখ করে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত হবে মারাত্মকভাবে। এ পরিসি’তিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাঙিড়্গত লক্ষ্য অর্জনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র মতে, দেশের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাসত্মবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যাই হচ্ছে জনসংখ্যা। কিন’ দেশের প্রধানতম সমস্যাটিই নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগগুলো শিথিল হয়ে পড়েছে। এমনকি জনসংখ্যা নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেয়া হচ্ছে তাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভ্রানিত্মমূলক। ফলে দেশে জনসংখ্যা বাড়া ছাড়া কমছে না। এ পরিসি’তিতে দ্রম্নত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস’াগুলোকে জোরদার করা জরম্নরি প্রয়োজন। শক্তিশালী করতে হবে এ সংক্রানত্ম উদ্যোগগুলোকে। যারা এ নিয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যেও সমন্বয় আনতে হবে। পাশাপাশি দূর করতে হবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জনবল সংকটও। সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে জনবল সংকট চরম। এমন অবস’া চলছে যে, দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দেখাশোনা করছেন মাত্র একজন পরিচালক। তার কোনো সহকারী নেই। এমনকি তার গাড়ি থাকলেও ড্রাইভার নেই। রাজশাহীতে দোতলা বিশাল বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অফিস থাকলেও সেখানে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী মিলে লোক রয়েছেন মাত্র ৪ জন। তাছাড়া রংপুর আলাদা বিভাগ হলেও পরিবার পরিকল্পনা অফিস এখনো রাজশাহী বিভাগের সঙ্গেই যুক্ত। এতে একটি অফিস থেকেই রাজশাহী বিভাগের ১৬টি জেলাকে দেখাশোনা করতে হচ্ছে একজন পরিচালককেই। সরকারের গুরম্নত্বপূর্ণ এ বিভাগে অনেক আগেই পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি চালু হলেও সরকার এখনো প্রয়োজনীয় লোকবল দেয়নি। বিভাগীয় অফিসে কোনো সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও অফিস পর্যায়েরও লোক নেই। এমনকি জেলা পর্যায়ের পরিবার পরিকল্পনা অফিসগুলোতেও গুরম্নত্বপূর্ণ পদে লোকবল নেই। এসব পদের মধ্যে গুরম্নত্বপূর্ণ হচ্ছে এফডবিস্নউএ। মূলত তারাই সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নানা পরামর্শ এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। এ পদে লোকবল কমে যাওয়ায় জন্ম নিয়ন্ত্রণে অনেক বিরূপ প্রভাব পড়ছে। কিন’ পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি যথাযথভাবে বাসত্মবায়ন করতে হলে এসব অফিসগুলোতে অতিদ্রম্নত জনবল নিয়োগর কোনো বিকল্প নেই। সূত্র আরো জানায়, সরকার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে নতুন কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ জন্য সরকার সংশিস্নষ্ট কার্যক্রম, সেবাগ্রহীতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পরিশোধযোগ্য ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক খরচের টাকা বাড়ানোর প্রসত্মাব অনুমোদন করেছে। এ জন্য টাকা বাড়ানো হয়েছে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতির বন্ধ্যাকরণ (টিউবেকটমি ও ভ্যাসেকটমি), আইইউডি কার্যক্রমের। ক্লিনিক্যাল পদ্ধতির বন্ধ্যাকরণ সেবাগ্রহিতার জন্য মজুরি ক্ষতিপূরণ ভাতা ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ১২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ১২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩শ টাকা করা হয়েছে। এতে সেবাগ্রহিতাদের ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ হবে। তাছাড়া বন্ধ্যাকরণ সেবাকেন্দ্রে বন্ধ্যাকরণ সেবা গ্রহণে ইচ্ছুকদের নিয়ে উপসি’ত হলে গ্রহিতা প্রতি সেবা গ্রহণকারী আনয়নকারীর যাতায়াত ভাতা হিসেবে আগে যে ১২৫ টাকা পেতো, তা বাড়িয়ে ২শ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে টাকা বাড়ানো হয়েছে আইইউডি কার্যক্রমের জন্যও। আইইউডি গ্রহিতার যাতায়াত খরচ ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১শ টাকা, ইনসারশন ফি ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, সেবা গ্রহণকারী আনয়নকারীর যাতায়াত ভাতা ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, গ্রহিতা প্রতি আনুষঙ্গিক খরচ ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি আইইউডি ইনসারশনের পরবর্তী সময়ে আইইউডি গ্রহিতাকে ফলোআপ সেবাদানের জন্য সেবাকেন্দ্রে আগমনের জন্য তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে ১৫০ টাকা। ইম্পপস্ন্যান্ট কার্যক্রমেও গ্রহীতা প্রতি ৩১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪শ টাকা করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতি মাসে স’ায়ী বন্ধ্যাকরণ কেন্দ্র ছাড়া অস্ত্রোপচার করার মতো উপযুক্ত পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২ বা ততোধিক বিশেষ বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রমেরও আয়োজন করা প্রয়োজন। যাতে প্রতি কার্যক্রমের মালামাল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়েছে। একইভাবে পদ্ধতি গ্রহণ পরবর্তী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে মৃত ব্যক্তির দাফন বা সৎকার বাবদ আইনগত উত্তরাধিকারকে এককালীন তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে।তাছাড়া দ্বিগুণ করা হয়েছে রিক্যানালাইজেশন কার্যক্রমের টাকার পরিমাণও। রিক্যানালাইজেশন গ্রহিতার খাদ্য, মজুরি ও ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি বাবদ খরচ দেড় হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, সিট ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা, রিক্যানালাইজেশন সার্জন ফি ৪ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা, এনেসথিওলজিস্ট ফি ২ হাজার টাকা, রিক্যানালাইজেশন সাহায্যকারী ফি ২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, ওটি চার্জ ২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, ড্রাগস এ্যান্ড এমএস আর ফি ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এম এম নিয়াজউদ্দিন জানান, পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে সরকার কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতির বন্ধ্যাকরণ, আইইউডি ও ইম্পপস্ন্যান্ট কার্যক্রমের জন্যও টাকা বাড়ানো হয়েছে উলেস্নখযোগ্যভাবে। সরকারি এসব উদ্যোগের কথা সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। পাশাপাশি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মানুষের মধ্যে গণসচেনতা সৃষ্টি করে চাঙ্গা করতে হবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ।

আরও পড়ুন...

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল আদিবাসীদের মিলন মেলায় ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালী নৃত্য প্রতিযোগিতায় আদিবাসীরা মানুষ হয়েছে, আদিবাসীরা পুরোপুরি মানুষ না হলেও বারো আনা মানুষ হয়েছে ————————————–খাদ্যমন্ত্রী

এন বিএন ডেক্সঃ  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অর্থাৎ আদিবাসীরা মানুষ হয়েছে, তবে পুরোপুরি মানুষ না হলেও বারো …