এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর পোরশায় সামসুল হক নামের এক ভূমিহীন কৃষকের পত্তনি নেয়া সম্পত্তি একই গ্রামের প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি জবরদখল করে নিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সাহায্য না পেয়ে অসহায় কৃষক শামসুল বিচারের আশায় এখন সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। জানা গেছে, কৃষক সামসুল গত ২০০০ সালে উপজেলার সহড়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে অবসি’ত বিভিন্ন দাগে কিছু সরকারি খাস সম্পত্তি পত্তন চেয়ে স’ানীয় ভূমি অফিসে একটি আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষক শামসুল হকের অজানেত্মই উক্ত মোড়ে ১৬৩ নং দাগে ০৪ শতাংশ খাস সম্পত্তি তার নামে ৯০ বছরের জন্য বন্দোবসত্ম দেয়া হয়। পরবর্তীতে তার অজানেত্মই ওই সম্পত্তি ওই ভাবে থেকে যায়। বর্তমানে ওই মোড়ে রাসত্মার ধারে সহড়ন্দ গ্রামের জনৈক জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি ইট দিয়ে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে জায়গাটির দখল নিতে গেলে সরকারি খাস সম্পত্তির বিষয়টি গ্রামবাসী সহ পত্তনি আবেদনকারী শামসুল হকের নজরে আসে। সম্প্রতি ওই গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি ও সামসুল পোরশা উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ ও খোঁজ করতে এসে জানতে পারেন যে, গত ২০০০ সালে ওই সম্পত্তি সামসুল হকের নামে বন্দোবসত্ম দেয়া হয়েছে। এরপর ভূমি অফিস কর্তৃক এক নোটিশের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরকে ওইস’ানে ঘর তৈরি করতে নিষেধ করলেও কোনো এক অজানা শক্তির জোরে জাহাঙ্গীর বহাল তবিয়তে এখনো তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে পত্তনি সম্পত্তির মালিক সামসুল হক তার নামে পত্তনকৃত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য স’ানীয় ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলে রহস্যজনক কারণে ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) অভিযোগটি তার কাছে নয়, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। ভূমি অফিসের কথামতো শামসুল থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ এ বিষয় সংক্রানত্ম অভিযোগটি গ্রহণ না করে তাকে ভূমি অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) সাইদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা নোটিশের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরকে নিষেধ করেছি এর বেশি কী করার আছে। অপর দিকে বিষয়টি নিয়ে পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি যেহেতু ভূমি বিষয়ক তাই ভূমি অফিসের কোনো সুপারিশ ছাড়া আমার করার কিছু নেই। জবরদখলকারী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কথা হলে তিনি শামসুলের পত্তনের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনিও উক্ত জায়গার জন্য কিছুদিন আগে ভূমি অফিসে আবেদন করেছেন বলে জানান। বর্তমানে জোরপূর্বক জায়গাটি দখলের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলে প্রায় ১ বছর আগে থেকে তিনি উক্ত স’ানে দোকান করে আসছেন তাই তিনি কখনই জবরদখল করেননি বলে জানান। বর্তমানে থানা প্রশাসন ও ভূমি অফিসের ঠেলাঠেলির কারণে তার নামে পত্তনি সম্পত্তি উদ্ধারের কোনো রাসত্মা না পেয়ে অসহায় শামসুল এখন সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সে সঙ্গে তিনি তার নামীয় সরকারের পত্তনি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …