বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহের জাতীয় কর্মসুচির সমাপনী দিনে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে জাতিসংঘের দুই মহাকাশ বিজ্ঞানী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতিসংঘের নর্থ আয়ারল্যান্ড স্পেস অফিসের পরিচালক প্রখ্যাত মহাকাশ বিজ্ঞানী ডঃ রবার্ট হিল এদেশে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহের উদযাপিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এর সকল কর্মকান্ড দেখে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, এদেশের মানুষের মহাকাশ বিষয়ে জানার আগ্রহ আমাদের বিষ্মিত করেছে। তাই আগামী ৩০ বছরের মধ্যে এদেশের মানুষ চাঁদে অবতরন করবে। বাংলার বিজ্ঞানীরা চাঁদের মাটিতে উড়াবে লাল-সবুজ পতাকা। গত কাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উদ্যোগে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর মহাকাশ ভবনে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ উদযাপনের তিনদিন ব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে মহাকাশ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যদান কালে সমাবেশে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পৃথিবী আগামীতে মহাকাশ প্রযুক্তিতে পরিচালিত হবে। কারন, বিদ্যুত চালিত শক্তি হিসাবে আমরা যে তেল, গ্যাস ব্যবহার করছি তা ক্রমান্বয়ে শেষ হয়ে আসছে। এখন মানুষ সৌরশক্তির উপর নির্ভর শুরু করে দিয়েছে। তাই আগামীর শতভাগ প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব গড়তে মহাকাশ গবেষনার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকেউ এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, অন্যান্য দেশের চেয়ে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ উদযাপনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই প্রশংসার দাবী রাখে। কারণ, এদেশের মানুষের সৌরজগৎ সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেশী থাকার জন্যই এ সফলতম অনুষ্ঠান। তাই এখানে যাতে একটি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স’াপন করা যায়, সে লক্ষ্যে আমরা জাতিসংঘে ফিরে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। যাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ বিষয়ে গবেষনা করতে পারে। এসময় বাংলাদেশ এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারন সম্পাদক এফ আর সরকারের সভাপতিত্বে জাতিসংঘের ফকস টেলিস্কোপ প্রজেক্টের পরিচালক ডঃ সারাহ রবাটস্‌, সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড.এ আর খাঁন, ড. জামাল নজরুল ইসলাম, ড. ফারছিন মোহাম্মদ ও মোঃ আসিফ ইউনেস্কো বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার মিসেস শিরিন আখতার, বক্তব্য রাখেন।