18 Magh 1431 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / শিক্ষা / নওগাঁয় শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, প্রতিবাদে ক্লাশ বর্জন ও বিক্ষোভ

নওগাঁয় শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, প্রতিবাদে ক্লাশ বর্জন ও বিক্ষোভ

এনবিএন ডেক্স: নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাশ রুমে শিক্ষক কর্তৃক পলাশ নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন। এ নিয়ে কির্ত্তীপুর এলাকায় দারুন উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান এলাকাবাসী। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস’তি কোচিং-এর জীব বিজ্ঞান ক্লাশে পলাশ একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় সাহকারী প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন তাকে চর থাপ্পর মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে-দিতে গায়ের জামা খুলে বেত্রাঘাত ও বিবস্ত্র করলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাশ রুম থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি স্কুলের অন্য শিক্ষকরা জানতে পেয়ে পলাশকে উদ্ধার করে সকল শিক্ষকদের নিয়ে তাৎক্ষনিক একটি বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনকে  শিক্ষার্থী পলাশের হাত ধরে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে মিমাংশা করে দেন। এসময় কান্নারত পলাশকে বাড়িতে পৌছে দিতে স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারিদের নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থী পলাশ জানায়, সে সদর উপজেলার কোচগাড়ী গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন প্রধান শিক্ষকের নিকট সুষ্ঠ বিচার চেয়ে ওই দিন বিকেলেই একটি অভিযোগ করেন।  সে আরও জানায়, ‘ পা ধরলেও সহপাঠিদের সামনেই স্যার আমাকে জোর করে বিবস্ত্র করে। আমি কান্না শুরু করলে আমাকে ক্লাশ রুমে একা রেখে সবাই চলে যায়।’ উপসি’ত বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের মধ্যে আতিকুর রহমান, ওসমান গনি, আঃ হান্নান জানান, ইতোপূর্বে ওই শিক্ষক একই রকম দু’টি ঘটনা ঘটালেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস’া নেয়নি। এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হলে তারা ছেলে-মেয়েকে আর স্কুলে পাঠাবেন না। স্কুলের সহকারী শিক্ষক্ষিকা ইয়াসমিনসহ কয়েক শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মঙ্গলবার কোন শিক্ষার্থী ক্লাশে আসেনি। ৮ম শ্রেনীর ক্লাস টেষ্ট পরীক্ষা থাকলেও কেউ তাতে অংশগ্রহন করেনি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আতাউর রহমান, আকরাম হোসেন ও হামিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি কির্ত্তীপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীর বাবাকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে শিক্ষক বেলাল হোসেন শারীরিক অসুস’তা দেখিয়ে ছুটির আবেদন করে মঙ্গলবার স্কুলে আসেনি। প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের সাথে কথা হলে তিনি কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর ছাত্র-শিক্ষকের মিমাংশা করে দিয়েছি, সেটি কেউ না মানলে আমার করার কিছু নেই।’ #

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা

এন বিএন ডেক্সঃ নওগাঁয় কোভিড-১৯ সময়ে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …