এনবিএন ডেক্সঃ অনেকের একাধিক ছেলে। আবার অনেকের আছে একাধিক মেয়ে। আবার কারো কারোর আছে দীর্ঘ দিনের সন্তান না হওয়ার কষ্ট। কিন্তু ভাগ্যবতী জেবা বেগমের ভাগ্যটাই যেন আলাদা। একসাথে ছেলে মেয়ের আশাপূরণ হয়েছে তার। তার গর্ভে জন্ম নিয়েছে চার চারটি ফুটফুটে শিশু। এদের মধ্যে দু’টি ছেলে, দুটি মেয়ে।
গতকাল আকাশে যখন রোদ বৃষ্টির খেলা চলছিল, তখন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে জন্ম নেয় এই শিশুগুলো।
বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে এক কেজি ৯শ’ গ্রাম ওজনের প্রথম পুত্র সন্তান জন্ম দেন জেবা বেগম। এরপর ১০টা ৫৮ মিনিটে জন্ম দেন দ্বিতীয় সন্তান। এটিও ছেলে। যার ওজন দেড় কেজি। এরপর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে জেবা বেগম জন্ম দেন দেড় কেজি ওজনের এক কন্যা সন্তানের। ফের বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে জন্ম দেন এককেজি দুশ’ গ্রাম ওজনের চতুর্থ সন্তানের। সর্বশেষ সন্তাটিও কন্যা। জন্মের পর এই চার নবজাতককে রাখা হয়েছে হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা ওয়ার্ডে। আর মা জেবা রয়েছেন হাসপাতালের সহকারি রেজিস্টার্ড ডাঃ আফরুজা বেগমের তত্ত্বাবধানে। গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আখতারী হোসেন চৌধুরী নিপা জানিয়েছেন কোন অস্ত্রোপচার ছাড়াই জেবা বেগম স্বাভাবিকভাবে একে একে শিশু চারটির জন্ম দেন। এর আগে আলট্রাসনোগ্রাফী করা হয়েছিল জেবার। সে সময় তিনটি সন্তানের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পরে তার চারটি সন্তানের জন্ম হয়।
চার নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন। বাচ্চাগুলো নড়াচড়া করছে, মাও কথা বলছেন। তবে কম ওজন হওয়ার কারণে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাদের। উল্লেখ ২০০৫ সালে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বগুড়ায় এটি দ্বিতীয় বিরল ঘটনা। ২০০৬ সালে বগুড়ায় প্রথম এক নারী পাঁচ পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন। চার সন্তানের জননী গর্বিত মা জেবা বেগম তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন তিনি খুব খুশি। এক সাথে ছেলে ও মেয়ের আশা পূরণ হয়েছে তার। তিনি বলেন, তার এই চার সন্তান অাঁধার ঘরে চাঁদের আলো। তার সংসারে আয় রোজগার সীমিত হলেও একদিন চারদিকে দ্যুতি ছড়িয়ে মানুষের মত মানুষ হবে তার সন্তানেরা।
ফুটফুটে-তুলতুলে সন্তান চারটিকে দেখে বাবা রায়হান মন্ডলের সুখ যেন ধরে না। তার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। তারপরও কপালে যেন একটু চিন্তার ভাঁজ। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন তিনি সামান্য লেদ মিস্ত্রি। ডাক পেলে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভাঙাচোরা গাড়ি মেরামত করে থাকেন। তার নির্দিষ্ট কোন কর্মস্থল নেই। শহরের উপকন্ঠে বনানীতে সরকারি শাহ সুলতান কলেজের পাশে জিহাদ মটরসএ মাঝে মধ্যে বসেন। ডাক পেলে গাড়ি মেরামত করতে যান। এভাবে মাসে সর্বসাকুল্যে তার ৮ হাজার টাকার মত আয় হয়। এই নিয়ে তার টানাটানির সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরায়-এমন অবস্থা। এরই মধ্যে চারদিকে আলো ছড়িয়ে তার চার সন্তান এসেছে। এতে তিনি গর্বিত। যতই অভাব থাক তিনি কারোর কাছে সাহায্য নিবেন না। প্রয়োজনে বাড়তি পরিশ্রম করে সন্তানদের দুধে-ভাতে রাখার চেষ্টা করবেন।
রায়হান মন্ডলের বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম উত্তরপাড়ায়। রায়হান বলেন, গত দু-বছর এক মাস আগে পার্শ্ববর্তী টেংড়া মাগুর গ্রামের মোঃ জেলহজ্বের অষ্টাদশী মেয়ে জেবা বেগম বধূ হয়ে তার ঘরে আসেন। বিয়ের দু-মাস পরই তার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এলেও দুর্ভাগ্য তার। সেবার গর্ভেই প্রথম সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় দু-বছর ধরে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে আল্লাহ তার আশা পূরণ করেছেন। বাবা হয়েছেন চার সন্তানের। তিনি সবার দোয়া চান। তিনি বলেন, সন্তানদের এখনো নাম রাখা হয়নি। কী নাম রাখা যায় তা নিয়ে ভাবছেন। এদিকে এক প্রসূতির চার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কৌতুহলী মানুষ তাদেরকে দেখার জন্য হাসপাতালে ভীড় জমায়। কিন্তু হাসপাতালের নিয়ম কড়াকড়ি ভাবে আরোপ থাকায় অধিকাংশের পক্ষেই শিশুদের দেখা সম্ভব হয়নি। তারপরও ওই সব মানুষেরা নবজাতকসহ তাদের মায়ের সুস্থতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন।
বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে এক কেজি ৯শ’ গ্রাম ওজনের প্রথম পুত্র সন্তান জন্ম দেন জেবা বেগম। এরপর ১০টা ৫৮ মিনিটে জন্ম দেন দ্বিতীয় সন্তান। এটিও ছেলে। যার ওজন দেড় কেজি। এরপর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে জেবা বেগম জন্ম দেন দেড় কেজি ওজনের এক কন্যা সন্তানের। ফের বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে জন্ম দেন এককেজি দুশ’ গ্রাম ওজনের চতুর্থ সন্তানের। সর্বশেষ সন্তাটিও কন্যা। জন্মের পর এই চার নবজাতককে রাখা হয়েছে হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা ওয়ার্ডে। আর মা জেবা রয়েছেন হাসপাতালের সহকারি রেজিস্টার্ড ডাঃ আফরুজা বেগমের তত্ত্বাবধানে। গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আখতারী হোসেন চৌধুরী নিপা জানিয়েছেন কোন অস্ত্রোপচার ছাড়াই জেবা বেগম স্বাভাবিকভাবে একে একে শিশু চারটির জন্ম দেন। এর আগে আলট্রাসনোগ্রাফী করা হয়েছিল জেবার। সে সময় তিনটি সন্তানের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পরে তার চারটি সন্তানের জন্ম হয়।
চার নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন। বাচ্চাগুলো নড়াচড়া করছে, মাও কথা বলছেন। তবে কম ওজন হওয়ার কারণে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাদের। উল্লেখ ২০০৫ সালে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বগুড়ায় এটি দ্বিতীয় বিরল ঘটনা। ২০০৬ সালে বগুড়ায় প্রথম এক নারী পাঁচ পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন। চার সন্তানের জননী গর্বিত মা জেবা বেগম তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন তিনি খুব খুশি। এক সাথে ছেলে ও মেয়ের আশা পূরণ হয়েছে তার। তিনি বলেন, তার এই চার সন্তান অাঁধার ঘরে চাঁদের আলো। তার সংসারে আয় রোজগার সীমিত হলেও একদিন চারদিকে দ্যুতি ছড়িয়ে মানুষের মত মানুষ হবে তার সন্তানেরা।
ফুটফুটে-তুলতুলে সন্তান চারটিকে দেখে বাবা রায়হান মন্ডলের সুখ যেন ধরে না। তার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। তারপরও কপালে যেন একটু চিন্তার ভাঁজ। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন তিনি সামান্য লেদ মিস্ত্রি। ডাক পেলে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভাঙাচোরা গাড়ি মেরামত করে থাকেন। তার নির্দিষ্ট কোন কর্মস্থল নেই। শহরের উপকন্ঠে বনানীতে সরকারি শাহ সুলতান কলেজের পাশে জিহাদ মটরসএ মাঝে মধ্যে বসেন। ডাক পেলে গাড়ি মেরামত করতে যান। এভাবে মাসে সর্বসাকুল্যে তার ৮ হাজার টাকার মত আয় হয়। এই নিয়ে তার টানাটানির সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরায়-এমন অবস্থা। এরই মধ্যে চারদিকে আলো ছড়িয়ে তার চার সন্তান এসেছে। এতে তিনি গর্বিত। যতই অভাব থাক তিনি কারোর কাছে সাহায্য নিবেন না। প্রয়োজনে বাড়তি পরিশ্রম করে সন্তানদের দুধে-ভাতে রাখার চেষ্টা করবেন।
রায়হান মন্ডলের বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম উত্তরপাড়ায়। রায়হান বলেন, গত দু-বছর এক মাস আগে পার্শ্ববর্তী টেংড়া মাগুর গ্রামের মোঃ জেলহজ্বের অষ্টাদশী মেয়ে জেবা বেগম বধূ হয়ে তার ঘরে আসেন। বিয়ের দু-মাস পরই তার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এলেও দুর্ভাগ্য তার। সেবার গর্ভেই প্রথম সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় দু-বছর ধরে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে আল্লাহ তার আশা পূরণ করেছেন। বাবা হয়েছেন চার সন্তানের। তিনি সবার দোয়া চান। তিনি বলেন, সন্তানদের এখনো নাম রাখা হয়নি। কী নাম রাখা যায় তা নিয়ে ভাবছেন। এদিকে এক প্রসূতির চার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কৌতুহলী মানুষ তাদেরকে দেখার জন্য হাসপাতালে ভীড় জমায়। কিন্তু হাসপাতালের নিয়ম কড়াকড়ি ভাবে আরোপ থাকায় অধিকাংশের পক্ষেই শিশুদের দেখা সম্ভব হয়নি। তারপরও ওই সব মানুষেরা নবজাতকসহ তাদের মায়ের সুস্থতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন।