এনবিএন ডেক্স: ভারী বর্ষণের সাথে উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলে তিস্তা নদীতে পানি ক্রমশঃই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২.৪০) মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি সস্নুইসগেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে কর্তৃপক্ষ।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, গতকাল সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় দশমিক দুই সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। এরপর দুপুর ১২টায় পানি বৃদ্ধি পায় দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এরপর পানি আরও ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটারে। তবে সন্ধ্যা ৬টায় পানি কিছুটা করে বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দেয়ায় চরাঞ্চলে ঢুকে পড়ছে সেসব পানি। ফলে ডিমলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রামের ভিতর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ভাটির গ্রাম খাঁলিশা চাঁপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর চরের মাঝি মোতালেব হোসেন (৪২) জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল আসায় তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেয়ায় তিস্তার পানি বাইশপুকুর চরের ভিতর দিয়ে প্লাবিত করেছে। ডিমলা পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান, টানা-বর্ষণে এবং তিস্তার নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির কারণে তিস্তার তীরবর্তী গ্রাম ও চরাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার অনেকেই মাছের খামার জাল দিয়ে ঘিরে রাখছে। অনেকে গবাদি পশুও হাঁস-মুরগি উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাট অফিস জানায়, লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ছিটমহলসহ তিস্তা তীরবর্তী হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকার উঠতি ইরি-বোরো, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলী ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। এদিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১০ সে:মি: নিচ দিয়ে প্রাবাহিত হওয়ুার কথা জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল সুত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় যোগাযোগ করা হলে তিস্তা ব্যারাজের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে লালমনিরহাট অফিস জানায়, লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ছিটমহলসহ তিস্তা তীরবর্তী হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকার উঠতি ইরি-বোরো, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলী ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। এদিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১০ সে:মি: নিচ দিয়ে প্রাবাহিত হওয়ুার কথা জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল সুত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় যোগাযোগ করা হলে তিস্তা ব্যারাজের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।