এনবিএন ডেক্স:
চীনের শিনজাং প্রদেশের রাজধানী উরমছিতে একটি বাজারে ক্রেতাদের ওপর দুটি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে এবং বিস্ফোরক ছুঁড়ে মারে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৯০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এ হামলায় একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয় বলে সিনহুয়ার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে। এতে অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় একে ‘সহিংস সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে। শিনজাং এ প্রায়ই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলটিতে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বাস। এপ্রিলে উরমছির একটি স্টেশনে বোমা হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ৩ ব্যক্তি নিহত ও ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হন। চীনা কর্তৃপক্ষ ওই হামলার জন্য উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুটি গাড়ি উত্তর দিক থেকে এসে দক্ষিণের বাজারে মানুষের ওপর উঠে যায়। তখন বাজে ৭.৫০ (স্থানীয় সময়)। গাড়ির বাইরে বিস্ফোরক ছুঁড়ে মারা হয়। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে এলাকাটি আগুন আর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। অপর একটি ছবিতে দেখা গেছে অগি্ননির্বাপনকারী তিনটি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। চীনের সর্বপশ্চিমে মধ্য এশিয়ার সীমানে শিনজাং-এর অবস্থান। সেখানকার অধিবাসীদের ৪৫ শতাংশই উইঘুর সমপ্রদায়ের যারা তুর্কি মুসলিম।

চীনা হান সমপ্রদায়ের সঙ্গে মাঝে মাঝেই তাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়। ২০০৯ সালে এই দুই সমপ্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গায় প্রায় ২শ’ জন নিহত হন। বেইজিং বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক সহিংসতার ঘটনায় উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করেছে। চলতি বছরের মার্চে কুমিং রেলস্টেশনে হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি ছুরিহামলায় ২৯ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্যও কর্তৃপক্ষ উইঘুর চরমপন্থীদের দায়ী করেছে।