এনবিএন ডেক্স: রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের উপায় হিসাবে পদত্যাগের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী নিউয়াত্তামরং বুনসঙপাইসান। সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা তার অপসারণ এবং নতুন প্রশাসন গড়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ৭ মে সাংবিধানিক আদালতের রায়ে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা ও ৯ মন্ত্রীর পদত্যাগের পর থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভসহ ৬ মাসের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং বাধাবিঘ্নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ইংলাকের পদত্যাগের পর তার স্থলাভিষিক্ত হন বাণিজ্যমন্ত্রী নিউয়াত্তামরং বুনসঙপাইসান। কিন্তু সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা বলছে, তার কোনো বৈধতা নেই এবং সংস্কার কাজ চালানোর জন্য তারা একটি ‘নিরপেক্ষ’ সরকার চায়। নিউয়াত্তামরং সিনেটের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যারা অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথে খোঁজার চেষ্টায় রয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে নিউয়াত্তামরং জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি পদত্যাগ করবেন না। বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে ভারপ্রাপ্ত এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভা প্রতিটি দিক থেকেই বৈধ.. নতুন মন্ত্রীরা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত এ মন্ত্রিসভা থাকতে হবে। ভারপ্রাপ্ত একজন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমরা আরেকজনকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারি না”। ইংলাক গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পর থেকে থাইল্যান্ডে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের কোনো কার্যকারিতা নেই। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট বলেছে, তারা একজন অন্তবর্র্তী প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু তার আগে প্রথমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন...
মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
আরটিভি’র সংবাদ প্রযোজক মুহম্মদ আবদুল কাইয়ূম পাভেল এর বড় ভাই মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ আর …