15 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সারাদেশ / সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাট-বাজারে ধান কেনা-বেচায় ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের দৌরাত্বে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাট-বাজারে ধান কেনা-বেচায় ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের দৌরাত্বে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার হাট-বাজারে নতুন ধান কেনা বেচায় হাটের ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের দৌরাত্বে সাধারন কৃষক, ধান ব্যবসায়ী ও মহাজনরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার অনত্মতঃ ২০-২২টি হাট এবং পরিবহনের সুবিধা আছে এমন গ্রাম সমুহে বোরো মৌসুমে কৃষক প্রয়োজনের তাগিদেই তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে থাকেন। উপজেলার বিনসাড়া, বারম্নহাস,নওগাঁ, গুল্টা, মান্নাননগর, নাদোসৈয়দপুর, গুড়পিপুল, মাঝদড়্গিনাসহ বিভিন্ন হাটে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে।এ নিয়ে উপজেলা হলরম্নমে গত মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় ব্যাপক ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তবুও প্রতিকার হচ্ছে না। তাড়াশ উপজেলায় এ বছর ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় অনেক কৃষক অতিরিক্ত ধান হাট-বাজারে এবং বাড়ির আঙ্গিনায় মহাজনদের কাছে বিক্রি করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মহাজনরা ধান কিনতে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভীর করছেন। প্রতিদিন এ অঞ্চল থেকে শত শত ট্রাকে হাজার হাজার টন ধান কিনে মহাজনরা বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন’ তাড়াশ এলাকার হাট-বাজারে নতুন বোরো ধান কেনা বেচা শুরম্ন হওয়ার সাথে সাথে খাজনা আদায় নিয়ে সরকারী নিয়ম-নীতি উপেড়্গা করে ইজরাদাররা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আগামী আরও ৩-৪ মাস প্রতিদিনই বিল পাড়ের সাপ্তাহিক হাটগুলোতে এবং বিভিন্ন স’ানে শত শত মেট্রিক টন ধান ক্রয় বিক্রয় হবে। আর ক্রয়-বিক্রয়ের এই মৌসুমে বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা খাজনা আদায়ে বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তোফায়েল হোসেন বলেন, প্রতিটি হাটে খাজনা আদায়ের মুল্য তালিকা থাকতে হবে, হাট বারের বাইরে খাজনা আদায়ের নিয়ম নেই। তাছাড়া হাটের বাহিরে কোন রাসত্মায় বা গ্রামে কৃষকের বিক্রিত ধান পরিবহনের সময় রাসত্মায় ঠেকিয়ে খাজনা আদায়ে কোন নিয়ম নেই। কিন্তু ইতিমধ্যেই চলনবিলের বিভিন্ন হাট-বাজারে হাটবারে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে। চলনবিলের প্রসিদ্ধ কমপক্ষে ২০টি হাট ঘুরে দেখা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী খাজনা আদায়ের মুল্য তালিকার সাইনবোর্ড করে টাঙ্গানোর নিয়ম থাকলেও তা নেই। ২-১টি হাট-বাজারে নাম মাত্র মুল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে ইজাদাররা ইচ্ছামত বসত্মা প্রতি ১০-১৫ টাকা আদায় করছে। আর বিভিন্ন হাটের রাসত্মায় ইজারাদারদের খাজনা আদায়কারী লোকজন হাটবারের বাইরে এবং হাট এলাকা ছেড়ে যেখানেই ধান বিক্রি হচ্ছে সেখানেই হানা দিয়ে খাজনা আদায় করছে। এর ফলে মহাজনরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। পাবনা থেকে ধান কিনতে আসা মহাজন আছের আলী জানান, বসত্মাপ্রতি খাজনা আদায় এবং ঘাটে ঘাটে ট্রাকপ্রতি ১ শ থেকে দেড় শ টাকা আদায় করছে। এতে প্রতিবাদ করলে ট্রাক ঠেকিয়ে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ধান বিক্রিতে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রভাব প্রানিত্মক চাষীদের ড়্গতিগ্রস’ করছে। কেননা মহাজনরা যখন ধান কিনছেন তখন বস্তাপ্রতি খাজনা, ঘাটে ঘাটে ট্রাক, ট্রলি প্রতি যে টাকা দিচ্ছেন তা হিসাব করে ধান কেনায় কৃষক প্রতিমণে ৫০-৬০ টাকা কম পাচ্ছেন। বিনসাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ফলে ব্যবসায়ীরা এ হাটে ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। ধান ব্যবসায়ী দরদ আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, ট্রাকপ্রতি ৬০ টাকা করে খাজনা নেওয়ার সরকারী নিয়ম থাকলেও ইজারাদাররা তা না মেনে ৫ শ থেকে ৭ শ টাকা পর্যনত্ম জোর পুর্বক অবৈধ ভাবে আদায় করছে। এ দৃশ্য উপজেলার সকল হাটেরই। বর্তমান সময়ে নতুন ধানের দাম এমনিতেই তুলনা মুলক কম। তার উপর মহা হিসাবি মহাজনরা তাদের পরিবহন খরচ, খাজনাসহ নানা খরচ বাদ দিয়ে তবেই ধানের দাম হাঁকছেন। প্রকারানেত্ম যার ভার কৃষককেই বহন করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ব্যাপারে বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ব্যাপারে নিরব থাকেন। তাদের কেউ কেউ বলেন, ধানের মৌসুমই হচ্ছে তাদের খাজনা আদায়ের ব্যবসা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভুমি) তোফায়ের হোসেন বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান”এ প্রতিপাদ্যে নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়েছে। …