নওগাঁয় প্রতিমা তৈরীতে ব্যসত্ম সময় কাটাচেছন ভাস্কররা

এনবিএন ডেক্স: শরৎ এর কাশফুলের সাদা শুভ্রতা মণে করিয়ে দেয় বিপদনাশিনী দেবী দুর্গার আগমণী বার্তা। শারদীয় উৎসব জমিয়ে তুলতে প্রতিমা তৈরীতে এখন মহাব্যস্থা সময় কাটাচেছন নওগাঁর ভাস্কররা। মন্ডপ গুলোর সাজসঝরার কাজও চলছে পুরোদমে। দুর্গা পূজা হিন্দু সমপ্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ভিন্ন আমেজ বইতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে চোখ ধাঁধানো পূজা মন্ডপে মঞ্চ তৈরী ও নানা পরিকল্পনার কাজ। অন্যদিকে পূজায় নতুন পোশাক কিনতে ভিড় করছে গামের্ন্স ও বিলাস বহুল বস্ত্র বির্তাণ গুলো। সাধ আর সাধ্যে মধ্যো রেখে ক্রয় করছে নতুন পোশাক। ধর্নীরা অভিজাত বিলাস বহুল দোকান, মধ্যম শ্রেণীর মানুষ সাধারণ দোকান এবং দরিদ্রোরা ফুটপথ থেকে কিনছে তাদের পছন্দের পোশাক। জুতা, জুয়েলার্স ও মনোহরি দোকান গুলোতেও ভীড় লক্ষ্য করা যাচেছ। তবে বাজারে সোনার দাম বেশী থাকায় সিটি গোল্ডের গহনা দিকে তরুণীরা বেশী ঝুঁকছে। পূজা উপলক্ষে স্থানীয় প্রসাশনের পক্ষ থেকে উৎসব চলাকালীন সময় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। জেলায় সবচেয়ে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হয় নওগাঁ সদর, মান্দা, মহাদেবপুর, আত্রাই ও বদলগাছী উপজেলাতে। পূজার আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি থাকায় মৃৎশিল্পীদের চোখে এখন ঘুম নেই। বছরের সবচে ব্যসত্ম সময় তাদের শরৎ কাল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এবার প্রতিমা তৈরীতে খরচ বেড়েছে। প্রতিমা তৈরীর উপকরণে দাম বেশি। ফলে প্রতিমা তৈরীর প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ প্রতিমা ভাস্কররাও তাদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারপরও থেমে নেই হিন্দু সমপ্রদায়ের এ সর্ববৃহৎ উৎসব আয়োজনে। পঞ্জিকা মতে, আগামী ৩ অক্টোবর দুর্গাদেবীর বোধন ও ষষ্ঠাদি কল্পনারম্ভের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠান শুরু হবে। ৭ অক্টোবর দশমী পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে। গত বছর তুলনায় এবার ২০টি মন্ডপে পুজা বেশি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নওগাঁ শাখার সভাপতি এ প্রতিবেদকে জানান, এবার জেলার ১১টি উপজেলায় প্রায় ১৫০০টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার সদরে পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় সমপ্রীতির অন্যতম দৃষ্টানত্ম স্থাপনকারী স্থান নওগাঁ সদর, মান্দা, মহাদেবপুর উপজেলা। এ উৎসব উপলক্ষে সকলের মধ্যে ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি হয় এখানে। এমনটি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। তাই অন্য সমপ্রদায়ের মধ্যেও ব্যাপক উৎসহ রয়েছে হিন্দুদের দুর্গা উৎসবকে ঘিরে।