26 Boishakh 1432 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ৯ মে ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / কৃষি সংবাদ / নওগাঁর মহাদেবপুরে বিদ্যুৎ অভাবে ১৩শ’ গভীর-অগভীর নলকূপ পরিচালনা নিয়ে দুশ্চিনত্মায় অপারেটররা ॥ ধান ক্ষেত বাঁচানো নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ৭০ হাজার চাষী

নওগাঁর মহাদেবপুরে বিদ্যুৎ অভাবে ১৩শ’ গভীর-অগভীর নলকূপ পরিচালনা নিয়ে দুশ্চিনত্মায় অপারেটররা ॥ ধান ক্ষেত বাঁচানো নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ৭০ হাজার চাষী

এন বি এন ডেক্সঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে বোরো ড়্গেতে সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ চালিত ১ হাজার ২৮২টি গভীর ও অগভীর নলকূপ নির্বিঘ্নে পরিচালনা নিয়ে কঠিন দুশ্চিনত্মায় পড়েছেন এসব নলকূপ অপারেটর। ঠিকমত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় এসব নলকূপ দিনরাতের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকছে। ফলে বোরো ড়্গেতে প্রয়োজনীয় সেচ পাচ্ছেনা কৃষক। এতে উপজেলার ৭০ হাজার বোরোচাষী ২৭ হাজার ৯২০ হেক্টর জমির ধান বাঁচানো নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়েছেন। বোরো চাষাবাদের প্রধান এলাকা গ্রামাঞ্চল হলেও সেই গ্রাম এলাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছেনা। এমতাবস্থায় গোলাভরা ধানের আশায় পরিবারের সহায়-সম্পদ ও ঘটিবাটি বিক্রি করে যে কৃষক হাজার হাজার হেক্টর জমিতে বোরো লাগিয়েছেন সেই কৃষকের আশা বিদ্যুৎ অভাবে মাটি হতে চলেছে। ঠিকমত সেচ দিতে না পারায় ধানগাছ ঠিকমত বেড়ে উঠতে পারছেনা বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এখানে ২৬ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লড়্গ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও কৃষক সেই লড়্গ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৭ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে বোরো রোপন করেন। বিদ্যুতের বেহাল দশায় অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, ভাল ফলন দূরে থাক সেচ অভাবে জমির সদ্যরোপিত ধানগাছ রড়্গা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জানান, সদ্যরোপিত বোরো জমিতে এখন নির্বিঘ্নে সেচ দিতে না পারলে অকালেই বুড়িয়ে যাবে ধানগাছ। স’ানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, শুধু সেচ বাবদ কমের পড়্গে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে বোরো ড়্গেতে সেচকাজ ব্যহত হবেনা। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রয়োজনীয় ১৬ মেগাওয়াটের বিপরীতে মাত্র আড়াই থেকে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন...

শষ্য ভান্ডার খ্যাত আত্রাইয়ে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক

এনবিএন ডেক্সঃ উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকারী ফসল ‘সোনালী আঁশ’ …