কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের সদর হলোখানায় সেচ পাম্পের পানি জমিতে নেয়াকে কেন্দ্র করে বজলু বাহিনীর প্রচন্ড বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি। ত্রাস সামাল দিতে গিয়ে মামলার আসামী হলেন এক ন্যাশনাল পুলিশ কর্মী। এলাকায় নিন্দার ঝড়।
জানা যায়, গত শনিবার সকাল ১১ টায় খলিফার মোড় নামকস’ানে এরশাদুল হকের মালিকানাধীন সেচ পাম্পের পানি জমিতে নেয়ার সময় বজলুর রশিদের ভাই চুরি করে নালা (ক্যানেল) কেটে নিজ জমিতে পানি নিতে থাকে। পাম্পের মালিক বিষয়টি জানতে পেরে চুরি করে কাটা নালা বন্ধ করতে থাকলে এ সময় বজলুর রশিদের বড় ভাই তাৎক্ষণিক ঐ স্থানে বজলুর রশিদ সহ ৯/১০জন কে ডেকে নিয়ে আসে। বজলুর রশিদ ঘটনাস’লে এলাকার মহিলাদেরকে অকত্যভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে উপসি’ত মহিলা-পুরুষদেরকে বেধম মারপিট করে। পরে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হলে বজলুর রশিদ তাৎক্ষণিক তার দল-বল নিয়ে পালিয়ে যায়। সুচতুর বজলুর রশিদ ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম সদর থানায় এরশাদুল সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে একটি অভিযোগ দাখিল করে। বজলুর রশিদ কুড়িগ্রাম শহরে অভিজাত টেইলাস্ এর সত্ত্বাধিকারী এবং জেলা শহরের উচ্চমান পর্যায়ের ব্যক্তিদের পোষাক তৈরি করার সুবাদে সবার সাথেই তার ভালো সর্ম্পকের অজুহাত দেখিয়ে এলাকার অনেককেই এ মামলার অজ্ঞাত আসামী বানানোর ভয় দেখিয়ে তালিকা তৈরি করছে।
গত ১৯ মার্চ ঘটনাস’লে কয়েকজন সাংবাদিক উপসি’ত হয়ে জানতে পারে, হট্টগোল সামাল দিতে গিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামের এক ন্যাশনাল পুলিশ কর্মীকেও এ অভিযোগে আসামী হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ নিয়ে এলাকার স্বচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন...
নওগাঁ সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচার প্রতিরোধ, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক সিন্ডিকেট, সন্ত্রাসী চিহ্নিতকরণ, সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা …