সুজন সরকার,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে হতদরিদ্র ভ্যান চালক মজনু মিঞা একমাত্র সন-ান মেধাবী ছাত্র শাকিল আকতার অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে। তার পিতা ছেলের জন্য মাথা গোজার ঠাইটুকু বিক্রয় করে চিকিৎার জন্য ব্যয় করেছে। তার অপারেশনের জন্য ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন’ টাকা অভাবে সে চিকিৎসা হতে পারছেনা। বর্তমানে শাকিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডের ১৫ নং বেডের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। জানাযায়, তাড়াশ উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে হতদরিদ্র ভ্যান চালক মজনু মিঞা একমাত্র মেধাবী সন-ান শাকিল আকতার বিনসাড়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। যে বয়সে শাকিলের খেলাধূলা, চঞ্চলতা, দুষ্টুমী, দৌড়-ঝাপ করার কথা সে বয়সে তার জীবনে নেমে এসেছে কাল বৈশাখীর ঝড়। ফুটবল খেলার সেই ঝড়ে লন্ড-ভন্ড করে দিয়েছে তার জীবন। নেমে এসেছে কালো মেঘ। হারাতে বসেছে তার বাম পা। ফুটফুটে চেহারার অধিকারী শাকিল অশ্রুভরা কন্ঠে বলেন, তার জীবনে ঘটে যাওয়া সেই দুঃস্বপ্নময় দিন গুলি কথা। গত দেড় বছর পূর্বে প্রতিদিনের ন্যায় সে দিনও বিকেলে সহপাঠিদের সাথে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল মাঠে। ফুটবল খেলতে খেলতে হঠাৎ তার বাম পায়ে সামান্য আঘাত পায়। খেলা শেষে বাসায় এসে দেখে বাম পাঁ আসে- আসে- ফুলে যাচ্ছে। পিতা মজনু মিঞাকে ঘটনাটি খুলে বললে তার পিতা স’ানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে বগুড়া কিংবা রাজশাহী নেওয়া কথা বলেন। শাকিল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ তাড়াশ এডিপি’র স্পন্সরড বাচ্চা হিসেবে তালিকা ভূক্ত হওয়ায় সংগঠনটি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং শাকিলকে বগুড়ার জিয়াউর রহমান হাসপাতালের ডাঃ নরেশ কুমার রায় এর ত্বত্তাবধানে বগুড়ার ডক্টরস্ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাঃ নরেশ কুমার রায় তার পায়ের উক্ত স’ানে ড্রিলের মাধ্যমে হাড়ে কয়েকটি স’ানে ছিদ্র করে। এরপর শাকিলের পায়ের অবস’া দিনদিন আরো খারাপ হতে থাকে। ছিদ্রের স’ান দিয়ে বের হতে থাকে ক্যালসিয়াম জাতীয় এক ধরনে পদার্থ। এমতাবস’ায় একমাস পর শাকিলের পিতা ডাঃ নরেশ কুমার রায়কে তাদের রিলিজ দেয়ার কথা বললেও সে সময় চিকিৎসক রিলিজ না দিয়ে প্রায় চার মাস পর ডাঃ নরেশ কুমার রায় তাদের সেখান থেকে রিলিজ করে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা নেবার পরামর্শ দেয়। এরই মধ্যে শাকিলের দরিদ্র পিতা মজনু মিঞার খরচ হয়ে যায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। এরপর নিঃস্ব মজনু মিঞা ঢাকায় চিকিৎসার জন্য ছেলে শাকিলকে নিয়ে গেলেও ঢাকার ক্লিনিকের আকাশ ছোয়া চাহিদায় ফিরে আসতে হয় চিকিৎসা না নিয়েই। সেখানকার ডাক্তাররা ৩লাখ টাকার চাহিদা দিলে তার হতদরিদ্র পিতা চোখে শর্ষের ফুল দেখে। সেখান থেকে শাকিলকে কিছুদিন বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। অর্থের অভাবে দিন দিন শাকিলের পায়ের অবস’ার অবনতি ঘটতে থাকে। গত দেড়মাস পূর্বে অবশেষে শাকিলকে নিয়ে আসা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক ডাক্তার বি,কে, দাম’র কাছে। ডাঃ বিকে দামের পরামর্শে শাকিলকে ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ নম্বর বেডে। এখান থেকেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে শাকিলকে। শাকিলের চাচা আলতাব আলী জানান, বগুড়ায় ভূল চিকিৎসা দেওয়ার ফলে শাকিলের পায়ের অবস’া খারাপ হয়েছে। তার বাম পায়ের গুড়মুড়ির নিচ থেকে অনেকাংশের হাঁড় নষ্ট হয়ে গেছে। তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়াজন। কিন’ তার গরীব পিতার পক্ষে এত টাকা যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যাক্তিদের অবুঝ শিশু শাকিলকে বাচানোর জন্য এগিয়ে এসে সাহাষ্যের হাত বানিয়ে দেওয়ার আহবান জানান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাকিল ও তার দরিদ্র পিতা মজনু মিঞা দেশবাসি ও বিদেশের সকল বিত্তবানদের কাছে তাকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। শাকিলকে সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা ঃ মোঃ মজনু মিঞা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৮১৬১, জনতা ব্যাংক,তাড়াশ শাখা, সিরাজগঞ্জের অনুকুলে। তার পিতার মোবাইল নম্বর ঃ ০১৭৬২-৮৭৪০৫৭।
Home / সারাদেশ / সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মেধাবী ছাত্র শাকিল ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার কারনে পা হারাতে বসেছে
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে সেমিনার
নওগাঁ প্রতিনিধি:- ছাত্র জনতার অঙ্গীকার নিরাপদ সড়ক হোক সবার এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে নওগাঁয় …