এবিএন ডেক্স : প্রত্ন সম্পদ সমৃদ্ধ ধামইরহাটের মাটি খুঁড়ে ইতিহাস অনুসন্ধ্যানের শুরুটা যে, ভাবে হয়েছিল তা ধরে রাখা যায়নি। অনুসন্ধ্যানে পাওয়া ইতিহাস ও প্রকাশ করা হয়নি। প্রত্নসম্পদের চিহ্নিত এলাকাগুলো ও হয়নি সংরক্ষিত। যেগুলো খুঁজে পাওয়া গেছে সেগুলো ও রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছেনা। হলে প্রত্ন সমৃদ্ধ এলাকার ভূমি দখলের ও অশুভ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধামইরহাট উপজেলার জগদ্দল বিহার, আগ্রাদ্বীগুন বিহার, ভীমের পান্টি হযরত সাহ তকীউদ্দীন পার্সি (রহঃ) এর “মাহী সনেত্মাষ” সহ অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৯৯৭ সালে জগদ্দল বিহারে প্রথম বারের মত প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ চালানো হয়েছে। বিহারের দক্ষিণ ও পশ্চিম পার্শে। খননের ফলে,ধ্বংস প্রাপ্ত একটি বিহারের আংশিক স্থাপত্য কাঠামো ও অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন সামগ্রী উম্মোচিত হয়েছে। ৩২ টির বেশি স্থানে খনন ও প্রাচীন চেপ্টা ইট দ্বারা তৈরি করে কক্ষের ধ্বংসাবশেষ। এগুলোর মেঝেতে খনন করে পাওয়া গেছে দরজার চৌকাঠের নিচের অংশ যা দীর্ঘ কালের অলংকৃত পাথরের তৈরি খনন কালে মূল্যবান কালো ছোট বড় মুর্তি মাটির অলংকৃত ইট বৌদ্ধ ধর্মমতে নামৃত পাত্র লোহার পেরেক সহ ১৩৪ টি প্রত্ন বস’ পাওয়া গেছে। জগদ্দল বিহারের পূর্ব-পশ্চিমে ১০৫ মিটার দীর্ঘ এবং উত্তর-দক্ষিণে ৮৫ মিটার দীর্ঘ ও চার দিকের ভূমি থেকে ৫ দশমিক ৪০ মিটার উঁচু। ইট ও মৃৎপাত্রের টুকরা থেকে প্রত্নতত্ত্ব্ব বিদগণ ধারণা করেন, নিচে বিশাল ধ্বংসাবশেষ লুকিয়ে আছে। জগদ্দল বিহারের দক্ষিণে সাতটি ভিক্ষু কক্ষ এবং পশ্চিমে চারটি মোট ১১ টি ভিক্ষু কক্ষ আংশিক উন্মোচিত হয়েছে। প্রতিটি কক্ষের পরিমাণ ৩ দশমিক ৫০ মিঃ গুন ৩ দশমিক ৩০ মিটার। প্রবেশ পথে অলংকৃত পাথরের চৌকাঠ (ডোর শিলা) ব্যবহার করা হয়েছে। কোন কোন কক্ষ ও বারান্দায় অলংকৃত দেবী কক্ষ দেখা যায়। এসব দেবী কক্ষে সম্ভবত বৃহদাকারে মুর্তি ছিল। বিহার থেকে আবিষ্কৃত সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও এখানে পাথরের তৈরি পিলারে ও কক্ষের নিচে কালো লম্বা (দরজা জানালার উপরে লিলটন ঢালাই আকৃতীর) খন্ডগুলো অরক্ষিত অবস্থায় পরে রয়েছে। একটি লম্বা পাথরে খোদাই করে লেখা রয়েছে। তাতে যে ভাষায় লেখা রয়েছে তা কেউ স্থানীয়রা আবিষ্কার করতে পারেনি। মহা বিহার নামে পরিচিতি জগদ্দলে ১৭ জন পাল বংশীয় রাজার মধ্যে রাজা বংশের সর্বশেষ রাজা। আনত্মর্জাতিক ভাবে পাল শাসন আমলে (১০৭৭ থেকে ১১২০ খ্রিঃপর্যনত্ম) জগদল মহাবিহার বৌদ্ধ সভাতার অত্যনত্ম গুরুত্বফূর্ণ কেন্দ্র ছিল এখানে বহুবৌদ্ধ পন্ডিত ছাত্র শিক্ষক একত্রে ধর্ম চর্চার কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে অনেকের ধারণা। রাজা রামপাল একাদশ শতাব্দীতে এই বিহার নির্মাণ করেন এবং এখান থেকেই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সহ অন্যান্য স্থান দেখা শুনা করতেন বলে অনেকে ধারণা করেন। মহাবিহার জগদ্দলের ধনভান্ডা জশু্রতিতে পাওয়া যায় দেইল বাড়ি গ্রামের কথা। সেখানে পাক শাসনামলে ব্যাপক লুট পাট হয়। বর্তমানে ১ টি ঢিবি রয়েছে। ঢিবির মধ্যে কি রয়েছে তা এলাকাবাসী বলতে পারেনি। খনন করলে হয়তো মহা মূল্যবান কিছু পাওয়া যাবে, এ ধারণা স্থানীয়দের। আগ্রাদ্বীগুনের বিহার টি স্থানীয়রা দখল করে নিচ্ছে। প্রায় তিন দিকে দোকানপাট ও ঘর-বাড়ি গড়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন...
মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
আরটিভি’র সংবাদ প্রযোজক মুহম্মদ আবদুল কাইয়ূম পাভেল এর বড় ভাই মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ আর …