বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল হার বৃদ্ধি: উভয় প্রানে ব্যাপক যানজট

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : চালু হবার ১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলের হার যানবাহন ভেদে ১০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন- বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন নির্ধারন করা টোলহার গত কাল ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১মিনিট থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে। এদিকে গত কাল বৃহস্পতিবার ভোরবেলা টোলহার বৃদ্ধির খবর জানাজানি হলে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালকদের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যানবাহন চালকরা অতিরিক্ত টোল দিতে রাজি না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় প্রানে- শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। সকাল ৯টার দিকে সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) শেখ মুজিবর রহমান স্বাক্ষরিত ৮ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সনে সেতু চালু হবার পর থেকে যানবাহন ভেদে ৩০টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০টাকা পর্যন্ত হারে টোল আদায় করা হচ্ছিল। বৈদেশিক ঋন পরিশোধ ও সেতুর রক্ষনা বেক্ষন কাজে প্রচুর অর্থ ব্যয় হবার অজুহতে এ টোল হার বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পূননির্ধারিত টোল হারে সর্বনিন্ম ১০টাকা থেকে যানবাহন ভেদে ১৫০টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত কাল বৃহস্পতিবার ভোরে সেতুর উভয় প্রানে- টোল বৃদ্ধির বিষয়টি জানাজানি হলে যানবাহন চালকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা টোল প্লাজার পাশে যানবাহন বন্ধ করে অপেক্ষা করতে থাকে। এতে অতিব্যস- এ সেতুর উভয় প্রানে- দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সেতুর পশ্চিম প্রানে- দাড়িয়ে থাকা উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ট্রাকের চালক ফজলুল হক, আহম্মদ আলী, সহ অনেকে জানান, টোল হার বৃদ্ধির সংবাদ কর্তৃপক্ষ ব্যপকভাবে প্রচার না করায় তারা বিষয়টি জানতে পারেনি। টোলহার কমানোর জন্য যখন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করা হচ্ছিল সে সময় আকস্মিকভাবে টোলহার বৃদ্ধি করা দুঃখ জনক।
এব্যাপারে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় ও রক্ষনা বেক্ষন কারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ট্রাফিক ও সিকিউরিটি ম্যানেজার মেজর (অবঃ) দেওয়ান তারেক রশীদ জানান, চালকেরা সময় মত টোল বৃদ্ধির তথ্য না পাওয়ায় কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেতুর পশ্চিম প্রানে- অধিক সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়েছিল। পরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুসেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, হঠাৎ করে টোলবৃর্দ্ধির কারনে অনেক ট্রাক চালকদের কাছে কম টাকা থাকায় সেতু পার হতে না দেরী হয়। পরে তারা টাকা সংগ্রহকরে পারাপর হয়। এ কারনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত তিনটা থেকে সকাল পর্যন- দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে যানযট দূর হয়েছে। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।