সিরাজগঞ্জে রাজশাহী বিভাগীয় উন্নত জাতের দেশীয় ষাঁড় বাছুরের প্রদর্শনী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এমপি বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের বাঘাবাড়ি দুগ্ধ অঞ্চল থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে চার লাখ লিটারের বেশী দুধ দেশের বিভিন্ন প্রানে- সরবরাহ করা হয়। দুগ্ধবতী গাভীর প্রজননে ও বেশী পরিমানে দুধ উৎপাদনের লক্ষে বিদেশী প্রজাতির ষাঁড়ের সিমেনের সাথে দেশী প্রজাতির ষাঁড়ের সিমেন্সের সমন্বয় ঘটাতে দেশের ২২টি জেলা ছাড়াও এ অঞ্চলে ‘ব্রীড আপগ্রেডেশন থ্রু প্রজেনী টেস্ট প্রকল্প’টি চালু করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ অঞ্চলের শত শত খামারীরা নিজেদের খামারে দেশী ষাঁড়ের সিমেনের সাথে বিদেশী ষাঁড়ের প্রজনন ঘটিয়ে উন্নত জাতের ষাঁড় তৈরী করতে পারবে এবং তা দেশের বিভিন্ন প্রানেত্মর খামারীদের মাঝে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারবে। তিনি শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রজনন কাজে ব্যবহৃত উন্নত জাতের ষাঁড় বাছুরের (প্রজেনী) রাজশাহী বিভাগীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। পৌর সদরের পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘ব্রীড আপগ্রেডেশন থ্রু প্রজেনী টেস্ট প্রকল্প’ ও জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের আয়োজনে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে ওই প্রদশর্নীতে উপসি’ত খামারী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে আলোাচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, স’ানীয় সাংসদ চয়ন ইসলাম, উল্লাপাড়ার সাংসদ মোঃ শফিকুল ইসলাম, রায়গঞ্জের সাংসদ ইসহাক হোসেন তালুদার, প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের মহা-পরিচালক ডাঃ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ উপ-পরিচালক শাহজামাল, ‘ব্রীড আপগ্রেডেশন থ্রু প্রজেনী টেস্ট প্রকল্পের পরিচালক আবুল খায়ের, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাসিবুর রহমান স্বপন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোসত্মফা কামাল খান, সাবেক পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরম্ন, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল সাবরিন প্রমুখ। মেলায় ৫০টি স্টলে ষাঁড় বাছুরের প্রদশর্নী করা হয়। উলেস্নখ্য, ষাড় বাছুরের বংশগত গুনাগুন পরীড়্গার মাধ্যমে পরীড়্গিত ষাড় প্রজনন কাজে ব্যবহার করে জাত উন্নয়নের জন্য ব্রীড আপগ্রেডেশন থ্রু প্রজেনী টেস্ট প্রকল্প নামে প্রাণি সম্পদ দফতর থেকে প্রায় ১১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পটি ২০০৮ সালের জুলাই শুরু হয়। পাবনা, নাটোর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও চট্ট্‌গ্রামসহ দেশের ২২টি জেলায় ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন- প্রকল্পটি চলবে। সিরাজগঞ্জে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রীর বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রকল্পটি নতুন করে চালু করা হলো।