এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর ধামইরহাটে পাটের বাজারে ধ্বস নেমে এসেছে। দাম পর্যাপ্ত না পাওয়া পাটচাষী কৃষকগণ পড়েছে চরম বিপাকে। উপজেলায় পাটচাষীরা পুরোদমে পাটধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যসত্ম সময় কাটাচ্ছেন। বাজারে দ্রব্য মূল্যের তালিকায় অন্যান্য পণ্য থাকলেও পাটের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকরা হতাশে দিন কাটাচ্ছেন। ধামইরহাট উপজেলার পাটচাষীদের অভিযোগে জানা যায়, বর্তমান পাটের বাজার নিম্নমুখি হওয়ায় চাষীদের উৎপাদন খরচ উঠছেনা। এ বছরে পাটের ফলনও সনেত্মাষ জনক নয় বলে কৃষকদের অভিযোগে জানা গেছে। উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের রূপনারায়নপুর গ্রামের পাটচাষী আব্দুর রউফ মাস্টার, জাহানপুর গ্রামের রম্নহুল আমিন ও আমিরম্নল ইসলাম সহ অনেক পাটচাষী জানান, অনেক আশায় জমিতে পাটচাষ করেছেন, কিন’ অকালে পাটের মড়ক ধরলে তারা কিছুটা আগাম পাট কাটতে শুরম্ন করেন। তারা তাদের অভিযোগে আরও জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মনের বেশি পাট ফলাতে পারেন নি। আর যে টুকু পাট পেয়েছেন তার সঠিক মুল্য পাচ্ছেন না। বিগত ২ বছর ধরে পাটের চড়া মূল্যের কারনে এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বেশির ভাগ জমিতেই সকল কৃষকই পাট চাষ করেছেন। প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম দিগুন হওয়ায় তাদের প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ উপজেলায় সরকারী ভাবে কোন পাটক্রয় কেন্দ্র না থাকায় চাষিরা মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন ফড়িয়ার কাছে কম মূল্যে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতি মন পাট বিক্রি বর্তমান বাজারে ১ হাজার ১ শত টাকা থেকে ১২ শত টাকা। আবার কিছু কিছু পাট ক্রেতা পাটচাষীদের নিকট তাদের বিক্রি করতে আসা পাটের অযথা দোষ ত্রম্নটি বের করে কম দামে পাট ক্রয় করছে। এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রায় পাট উৎপাদনের লড়্গ্যমাত্রা ১৩৯৭ হেক্টর থাকলেও অর্জিত হয় ১৭৪৫ হেক্টর।
আরও পড়ুন...
খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত করা হবে: নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী
এনবিএন ডেক্সঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে …