এবিএন ডেক্স: ১৯৭১ সালের পাক বাহিনীর নারকীয় তান্ডবের ফলে সৃষ্ট বধ্যভূমিগুলোর স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও সংরক্ষণ করা হয় নাই। জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৪ আগষ্ট সোমবার দুপুরের দিকে ধামইরহাটের ফার্শিপাড়া ক্যাম্পের পাক হানাদার বাহিনী কুলফৎপুর গ্রামে ব্রাস ফায়ারের মাধমে লাইন করে দাড়িয়ে এক সাথে ১৪ জন কৃষক কে হত্যা করে। মুক্তি বাহিনীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা এবং পাক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুক্তি বাহিনীকে সরবরাহের অভিযোগে উপজেলার কুলফৎফুর ও কৈগ্রাম গ্রামের ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে বিভিন্ন স’ান থেকে ডেকে এনে কুলফৎপর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করে। পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৭ জন নিরীহ গরীব কৃষককে লাইন করে দাঁড়িয়ে চায়না রাইফেলস দিয়ে গুলি চালায়। এতে ১৪ জন মারা যায়। মৃত্যু বরণকারীরা হলো-কুলফৎপুর গ্রামের আফতাব উদ্দীন,তায়েজ উদ্দীন, আমজাদ হোসেন,চানমুদ্দীন,ছয়ফুদ্দীন,কছিমদ্দীন,অবির উদ্দীন,মতিবুল,আবেদ আলী, কৈগ্রাম গ্রামের তাজুমদ্দীন, বিজু, আব্বাস আলী, রহিম উদ্দীন,ফয়জুল ইসলাম। ভাগ্যক্রমে কুলফৎপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান,মনির উদ্দীন ও ময়েজ উদ্দীন বেঁেচ যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ধামইরহাট উপজেলার সীমান-বর্তী প্রতিটি গ্রামের তরুণ,যুবক ও বয়স্ক ব্যক্তিবর্গ কমবেশী অংশ গ্রহণ ও সাহায্য সহযোগিতা করেছিল। গ্রামের সবাই হয়তো এক সাথে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করলেও বিভিন্নভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছিল। এর ফলে ১৪ জন নিরীহ কৃষক মারা যায়। সেই থেকে ১৪ আগষ্ট ঐ গ্রামের জন্য একটি বেদনা দায়ক স্মৃতি হয়ে আছে। যে স’ানে ১৪ জন কৃষক কে হত্যা করা হয়েয়ে সেখানে আজও কোন প্রকার স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে জায়গাটি গো-চারণ ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া উপজেলার ফার্শিপাড়া ও পাগল দেওয়ান এলাকায় আরও দুটি বধ্যভূমি রয়েছে। স্বাধীনতার ৪০ বছর পার হলেও আজ এসব এলাকার বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এই স’ানগুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান, এলাকাবাসী ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরমুদ হোসেন।
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় ৯টি ককটেল ১৫ টি সাউন্ড বোমাসহ বিপুল পরিমান জিহাদী বই উদ্ধার- ৬ শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁ সদরের শহরস্থ নামাজগড় মাদ্রাসা পাড়া থেকে ৯টি ককটেল, ১৫ টি সাউন্ড বোমা …