
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় সীমানা প্রাচীরের বিরোধের জের ধরে ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে নির্মাণাধীন ইটের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ও ভুক্তভোগীকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া জেলা পরিষদের পশ্চিম পাশ্বে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী লায়লা আরজু মান্দ বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় ২৭জনকে আসামী করে একটি এজাহার দাখিল করছেন। ভুক্তভোগী ও এজাহার সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী লায়লা আরজু মান্দ চকবাড়িয়া জেলা পরিষদের পশ্চিম পাশের্^ ৫কাঠা জমি ত্রুয় করে বাড়ি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন সকালে প্রতিপক্ষরা সীমানা প্রাচীর ও বাড়ির মূল দরজা ভাংচুর করতে লাগলে ভুক্তভোগী বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা ভুক্তভোগীকে মারপিট করে ঘরের মধ্যে সিটকিনি দিয়ে আটকিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। ভুক্তভোগী লায়লা আরজু মান্দ জানান, আমাকে একা পেয়ে আমার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিবেশী মৃত বছিরের ছেলে মাহাতাব (৫০) এর নেতৃর্তে¡ প্রায় ২০-২৫ প্রতিপক্ষদের নিয়ে এসে আমার সীমানা প্রাচীর ও বাড়ির মূল দরজা ভাংচুর করে। তিনি আরো জানান, এ সম্পত্তি দখলে নেওয়ার জন্য মাহাতাব এর নেতৃর্ত্বে স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছিল। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও এর নিষ্পত্তি হয়নি। পরে আমি থানায় মোবাইল ফোন করলে থানা থেকে পুলিশ এসে আমাকে সিটকিনি খুলে ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেয়। চিকিৎসা শেষে আমি বুধবার থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছি।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ওই সম্পত্তির সীমানা প্রাচীর নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। বুধবার ভুক্তভোগী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। এজাহারটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।