নওগাঁ প্রতিনিধি: ভোক্তাদের সুবিধার জন্য নওগাঁয় ন্যায্য মুল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সদর উপজেলা পরিষদ বাজারে (সিও অফিস) ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হয়। বাজারের তুলনায় কেজিতে কমপক্ষে ৯০-১০০ টাকা কমে মাংস পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ ।উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় গেটের বাম পাশে এ (সিও অফিস) ন্যায্য মুল্যের দোকান। দোকানটি রাস্তার উত্তরপাশে অবস্থিত। বাজারে এ দোকান থেকে একটু দুরেই রাস্তার দক্ষিণ পাশেই রয়েছে খুচরা মাংসের দোকান। যেখানে প্রতিকেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। ন্যায্য মুল্যের দোকানে প্রায় দুই মন ওজনের একটি ষাঁড় গরু সকাল ৯টায় জবাই করা হয়। সাড়ে ১০টার মধ্যে মাংস কেটে সাইজ করা হয়। মাংসের দাম কম হওয়ার কথা শুনে ক্রেতারা ছুটে আসেন। আবার অনেকে দেখার জন্যও আসেন। যারা মাংস নিতে ইচ্ছুক তারা তালিকায় নাম লেখান। প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে মাংস বিক্রি শেষ। গত ২৩ নভেম্বর ন্যায্য মুল্যের দোকান চালু করে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। যেখানে বাজার তুলনায় এ দোকানে সাশ্রয়ি মূল্যে আলু, পেঁয়াজ এবং ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এ দোকানে নতুন আলু ও পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৫ টাকা হালি। এ দোকান থেকে একজন ক্রেতা দুই হালি ডিম এবং দুই কেজি করে আলু, পেঁয়াজ ও মাংস কিনতে পারবেন। বাজার মূল্য থেকে কিছুটা কম দামে পন্য পেয়ে উপকৃত হচ্ছে ভোক্তারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ দোকান। ক্রেতারা জানান বাজারে গরুর মাংস ৬৯০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি। এছাড়া আধা কেজির নিচে মাংস পাওয়া যায় না। সেখানে ন্যায্য মুল্যের দোকানে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস কেনা যাচ্ছে। আমিষের চাহিদা পুরনে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুবিধা হবে।
চকমুক্তার মহল্লার বাসীন্দা বেসরকারি চাকরিজীবি সানাউল্লাহ বলেন, খুচরা বাজারে বরাবরই মাংসের দাম বেশি থাকে। মুরগি খাওয়া হলেও গরুর মাংস তেমন একটা কেনা হয়না। দাম কিছুটা কম পেয়ে এক কেজি কিনেছি। চর্বিটা একটু বেশি হলেও মাংস মোটামুটি ভাল। এমন উদ্যোগ নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য সুবিধা হয়েছে। নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম রবিন শীষ বলেন- ন্যায্য মুল্যের দোকান চালু হওয়ার পর সুবিধা পাচ্ছেন খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। আলু, পেঁয়াজ ও ডিম এর সাথে গরুর মাংস যোগ করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস বিক্রি হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি এবং সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস কিনতে পারবেন। তিনি বলেন- এ দোকান থেকে সচেতনামুলক কিছু বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে। পলিথিন ব্যবহার নিরুসাহিত করতে বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগে পন্য বিক্রি হচ্ছে। কেউ চাইলেও পলিথিনে পন্য বিক্রি করা হবে না।