7 Agrohayon 1431 বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সারাদেশ / অপসাংবাদিকতা রোধে শিগগিরই সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে—- প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান মো. নিজামুল হক নাসিম

অপসাংবাদিকতা রোধে শিগগিরই সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে—- প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান মো. নিজামুল হক নাসিম


এনবিএন ডেক্সঃ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, অপসাংবাদিকতা রোধে শিগগিরই সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। যেখানে সাংবাদিকদের সকল তথ্য দেওয়া থাকবে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে নওগাঁয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৫০জন সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিকরণ’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে এ প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেছিলেন। সাবেক এ বিচারপতি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে উল্লেখ করেন। আইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই আইনের অধীনে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাছবিচারহীনভাবে জামিন না দেওয়া। জামিন অযোগ্য বলেই জামিন দেওয়া যাবে না, এটা সবক্ষেত্রে ঠিক নয়। এই আইনেও জামিন দেওয়া যাবে। বিচারক তাঁর বিবেচনা প্রয়োগ করে যদি মনে করেন, তিনি জামিন দেবেন সেটা করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, অনেকেই মনে করছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হুবহু থাকবে, কারও দাবি বাতিল করতে হবে, আবার কেউ বলছে এটা সংশোধন করতে হবে। আমি মনে করি, এই আইনের প্রয়োজন আছে। তবে আইনের মিসইউজ (অপপ্রয়োগ) হচ্ছে। এই আইনের সবচেয়ে বড় সমালোচনা হচ্ছে এর অধিকাংশ ধারাই জামিন অযোগ্য। তবে জামিন অযোগ্য মানে এটা নয় যে জামিন পাবে না। জামিন অযোগ্য মামলায় জামিন দেওয়া যাবে না এটা সবক্ষেত্রে ঠিক নয়। এটা কোর্টের অথরিটি (কর্তৃত্ব)। বিচারক সাহেব জামিন দিতেও পারেন, নাও পারেন। আমি আশা করব, যারা এই আইনটি প্রয়োগ করবেন, তারা যেন মানুষ হয়রানির শিকার হয়, এমন আদেশ না দেন। সারাদেশের সাংবাদিকদের তালিকা মূল্যায়ন করা হবে এবং এ মূল্যায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া হবে বলেও জানান প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সারাদেশের সাংবাদিকদের তালিকা করা একটু সময়সাপেক্ষ হলেও এ প্রক্রিয়ায় প্রকৃত সাংবাদিকরা বেরিয়ে আসবে। ডাটাবেজ তৈরির জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ২২টি জেলার সাংবাদিকদের তালিকা পাওয়া গেছে। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নিজামুল হক বলেন,‘যারা সাংবাদিকতা করবেন তাদের প্রথম পেশা সাংবাদিকতাই হতে হবে। দ্বিতীয় পেশা অন্য কিছু হতে পারে। যিনি সাংবাদিকতা করবেন তাকে মিনিমাম গ্রাজুয়েট হতে হবে অথবা সাংবাদিকতায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিল আইন ও তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কিত আলোচনা শেষে সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, নীতিমালা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অপেশাদারি ও অপসাংবাদিকতা, সাংবাদিকদেও বেতন-ভাতা, নিরাপত্তাসহ সাংবাদিকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে নওগাঁর সাংবাদিকেরা। নওগাঁ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায় এর সভাপতিত্বে অন্যানদের বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো.মাসুদ খাঁন (উপসচিব), নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মোঃ মাসুদুল ইসলাম প্রমূখ সহ মতবিনিময় সভায় নওগাঁর কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল ও বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার নওগাঁর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন...

নওগাঁ সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচার প্রতিরোধ, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক সিন্ডিকেট, সন্ত্রাসী চিহ্নিতকরণ, সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা …