নওগাঁ প্রতিনিধিঃ খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্যে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি আবারো স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্ঠস্বও রেডিও, টেলিভিশনে, স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবসে শুনতে পারি নাই। এই ২২ বছরে মধ্যে নতুন প্রজন্ম হয়েছে এই সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত শেখানো চেষ্টা করা হয়েছে। এবং অনেকে তা রপ্তও করেছে। যার কারণে দেশে সন্ত্রাসের তৈরী হয়েছে। বাংলা ভাইয়ের তৈরী হয়েছে। নানান বিধ অবস্থানে পরে আছি।
শনিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্ত্বরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এমনকি বীরমুক্তিযোদ্ধাও পরিচয় দিতে পারেননি। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেই জেলে যেতে হবে, নাকি জীবনটাও দিতে হবে সেই ভয়ে। কারণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যারপর যানাযাও করতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা বিরোধীরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যারপর বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। দেশকে তিনি ইত্যে মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর করেছেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান বুকে ধারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিন্তা করেন। তাদের কল্যাণে সম্মানীভাতা বাড়িয়েছেন, ঘর বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। স্বাধীনতার মাসে জয় বাংলাকে জাতীয় শ্লোগান করেছেন। যারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে যুদ্ধ করেছেন তাঁদের জন্য জয় বাংলা শ্লোগানকে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে পাওয়া পরম সৌভাগ্যের ও গৌরবের।
মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি দপ্তরে সেবা গ্রহণ যেন হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনকে কার্যকরি ভূমিকা নেওয়ার আহবান জানান মন্ত্রী। এ সময় তিনি নওগাঁর রাস্তাগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম মামুন খান চিশতি, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উত্তম কুমার রায়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অল রশিদ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম সামদানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ,কেএম সিরাজুল ইসলাম আনসারীসহ প্রমুখ। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের মাঝ সম্মাননা উপহার ও ক্রেস্ট তুলে দেন মন্ত্রী।