নওগাঁ প্রতিনিধিঃ ইতোমধ্যে আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলা। চলতি বছরে সাপাহারে আমের গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আ¤্রমুকুল। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবারেও আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছিলো। গত মৌসুমে আমের বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান। এ বছরেও থেমে নেই আমবাগান তৈরীর প্রবণতা। যাতে করে এ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ শ’ হেক্টর জমি। এলাকার আমবাগান গুলো ঘুরে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাগানের আমগাছ গুলোতে অগ্রিম মূকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুল গুলো নষ্ট হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এই সময়ে আমের মূকুলগুলো রক্ষার্থে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছ গুলোতে উকুন নাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাক নাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদপ্তর থেকে। গতবছরের ন্যায় চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছরে আম বাগান বৃদ্ধি হলেও গাছ গুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেননা এলাকার আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলার একাধিক আমচাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগান গুলোতেই মূকুল দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না যায় সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যাবহার করছেন এলাকার চাষীরা। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন আমচাষীরা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরেও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আমচাষীরা। এ বছরে দেশের আমের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আম রপ্তানি করা যেতে পারে বলে মনে করছেন এ উপজেলার আমচাষীরা।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …