এনবিএনডেক্স: নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি বধ্যভূমিতে আজও নির্মিত হয়নি কোন সস্মৃতিসৌধ। ফলে শহীদ পরিবারদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ােভ। জানা যায়, ‘৭১ সালের ১১ জুলাই ভোর রাত’ তখনও ফজরের আযান হয়নি। ওই সময় পাক হানাদার বাহিনী দু’টি বড় নৌকাযোগে এসে উপজেলার মিরাপুর গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কৃষ্ণুপুর গ্রাম ঘেরাও করে মুক্তিকামী নিরস্ত্র পাকবাহিনী নামাজরত মুসলীদেরকেও আটক করে। আটককৃতদের আত্রাই-নওগাঁ সড়কের পার্শ্বে মিরাপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে একত্রিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করার অভিযোগে প্রায় ৩০ জনকে ওই বাঁশঝাড়ের মধ্যে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এছাড়াও ওই সময় বর্বর পাকহানাদার বাহিনী কৃষ্ণপুর গ্রামের ৪/৫ জন নারীকে ধর্ষণ করে। কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আটককৃত ১৭ বছরের স্কুল ছাত্র ওয়াহিদউদ্দিন মিলুকে সেদিন গুলি না করে ছেড়ে দেয় পাকবাহিনী। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে যাওয়া ওয়াহিদ বলেন, আমার চোখের সামনে প্রায় ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ২৪ জন শহীদের নাম জানা গেছে। স্বাধীণতার পর দীর্ঘ ৪৩ বছরেও এই বধ্যভূমির শহীদ পরিবারের কেউ খোঁজ নেয়নি। ঐ সব পরিবারের দাবি এখানে শহীদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হোক। এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আখতারুজ্জামান বলেন, মিরাপুরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান আমাদেরও প্রাণের দাবি। আমরা বিষয়টি নিয়ে উপর মহলে লেখালেখিও করেছি।
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় ৯টি ককটেল ১৫ টি সাউন্ড বোমাসহ বিপুল পরিমান জিহাদী বই উদ্ধার- ৬ শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁ সদরের শহরস্থ নামাজগড় মাদ্রাসা পাড়া থেকে ৯টি ককটেল, ১৫ টি সাউন্ড বোমা …