এনবিএন ডেক্স:
শুক্রবার রাজধানীর বাজারে ক্রেতা ছিল কম, পণ্যও তুলনামূলকভাবে ছিল কম। তবে দাম ছিল বেশি। কোরবানি ঈদের পর কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। পুরোদমে সরবরাহ শুরু না হওয়ায় কাঁচা শাকসবজির দাম বেড়েছে। মাছের বাজারে প্রচুর দেশীয় মাছ থাকলেও দাম কমেনি। তবে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। কোরবানির ঈদের পর রাজধানীর বাজারে নতুন করে নিত্য পণ্যের সরবরাহ হয়নি। এতে করে আগের দামেই নিত্যপণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। কাওরানবাজারে ঈদের পরে রসুন, পেঁয়াজ ও আদা সরবরাহ হয়নি। যে কারণে পাইকারিতে প্রতিকেজি রসুন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আদা ১৬০ থেকে ১৭০, দেশি পেঁয়াজ ৪০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৭ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কাওরানবাজারের পাইকারি বিক্রেতা আনোয়র হোসেন বলেন, ঈদ ও পূজার জন্য পোর্ট বন্ধ আমরা ঈদের আগের পণ্য বিক্রি করছি। তবে এক সপ্তাহ পর দাম কমতে পারে। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে বাসি সবজি তাও চড়া দামে। যে কারণে বিক্রেতারা নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সবজি বিক্রি করছেন। যেমন পলাশী কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি দেশি টমেটো ২২০, শসা ৫০ থেকে ৬০, গাজর ৮০, বেগুন ৬৫, মরিচ ১২০, ঢ্যাড়স ৫০, ঝিঙা ৫০, পটল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে ব্রয়লারের দাম। ্রতিকেজি ব্রয়লার ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ঈদের দিন ১৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, সামনে ব্রয়লারে দাম আরো কমে যাবে। হাতিরপুল কাঁচাবাজারের ব্রয়লার বিক্রেতা নিয়াজ মিয়া বলেন, সামনের দুই তিনদিন ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে। এখন সবার ঘরে কোরবানির মাংস তাই ব্রয়লার মাংসর চাহিদা নেই। তবে মুদি পণ্যের দাম স্থীতিশীল আছে। প্রতিকেজি খোলা চিনি ৪৫, প্যাকেট ৪৮, লবণ ২৫, মোটা লবণ ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।প্যাকেটজাত দুই কেজি আটা ৭০ ও ময়দা ৮৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় দানা মশুরডাল ৮০ থেকে ৯০ ও চিকনদানা ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে ?মুগডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।প্রতিকজি আলু ২০ থেকে ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ কাঁচাবাজারে মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়নি।সাধারণ মানের মিনিকেট ৪০ থেকে ৪৫ ও উত্তম মানের মিনিকেট ৪৭ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটাচাল ৩৫ থেকে ৩৮, সাধারণ মানের পাইজাম ৩৯ থেকে ৪০ ও উত্তম মানের পাইজাম ৪২ থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিলিটার বোজতলজাত সয়াবিন ১১৫ ও পাঁচ লিটার ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা ও বোতলজাত তেলের দাম অনেক তারতম্য দেখা গেছে। দুই মাস থেকেই খোলা তেলের দাম কমলেও কমছে না বোতলজাত তেলের দাম। নগরীতে প্রতিকেজি ভালো খোলা সয়াবিন ৯০ থেকে ৯৫ ও সুপার ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি হিসেবে ৫ লিটার সয়াবিন তেল সাড়ে চার কেজি হবে বলে জানান বিক্রেতারা। পলাশীর স্বর্ণা জেনারেল স্টোরের মালিক শরিফ বলেন, দুই মাস ধরে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম কমছে না। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিরা বোতলজাত তেলের দাম বাড়িয়ে দেয়। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে ইলিশ একবারেই নেই।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …