এনবিএন ডেক্স: সমপ্রতি মঙ্গল গ্রহে অবতরণের নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা। সফলভাবেই নাসা এই প্রযুক্তি পরীক্ষাটি সম্পন্ন করতে পেরেছে বলে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার হাওয়াই থেকে এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়। বিবিসির তথ্য অনুসারে, মহাকাশযানকে মঙ্গল পৃষ্ঠে ধীরগতিতে নামতে সাহায্য করবে এমন নতুন ধরনের সুপারসনিক প্যারাশুট এবং বায়ুভর্তি কেভলার রিং পরীক্ষা করে দেখেছে নাসা। বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে উড়ন্ত চাকতি-আকৃতির একটি যান বেলুনের সাহায্যে বায়ুমণ্ডলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সব যন্ত্র ঠিকমতো কাজ করলেও গোলমাল বাঁধে প্যারাশুট নিয়ে। পরীক্ষাধীন সময়ে প্যারাশুট সম্পূর্ণভাবে খোলেনি বলেই জানিয়েছে বিবিসি। নাসার দাবী, তারা এই পরীক্ষা থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তা তাদেরকে সামনের দশকেই মঙ্গলে আরও ভারী জিনিস পাঠাতে সাহায্য করবে। বর্তমানে মঙ্গলে দেড় টন ওজনের জিনিস পাঠানো সম্ভব হয়। তবে ভবিষ্যতে গ্রহটিতে মানুষ পাঠাতে হলে দশ টনেরও বেশি ওজন পাঠানোর মতো প্রযুক্তির প্রয়োজন পড়বে। নাসার এই পরীক্ষাযানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘লো ডেনসিটি সুপারসনিক ডিসেলারেটর’ (খউঝউ)। ফ্লাইট শেষে যানটিকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা হয়েছে বলেই জানিয়েছে বিবিসি। নাসার টিম এখন এর সঠিক অবস্থান খুঁজে বের করে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধারের চেষ্টা করছে। ডেটা রেকর্ডারটি উদ্ধার করা সম্ভব হলে তার মাধ্যমে পরীক্ষার সময় কী হয়েছিল সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাবেন প্রকৌশলীরা। তবে ভূখণ্ডে থাকা ক্যামেরায় এলডিএসডি ফ্লাইটের অনেকাংশই ধারণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। রকেট মোটরের সহায়তায় শব্দের চেয়েও চারগুণ দ্রূতগতিতে যানটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং যানটি এক লাখ বিশ হাজার ফুট ওপরে পৌছাতে দুই ঘন্টা সময় নিয়েছিল বলেই জানিয়েছে নাসা। যানটির গতি কমে আসার সময় প্রথমে কেভলার রিং এবং পরবর্তীতে সুপারসনিক প্যারাশুট প্রযুক্তিটি পরীক্ষা করা হয়। আগামী বছর হাওয়াই থেকেই আরও দুটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।
আরও পড়ুন...
মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
আরটিভি’র সংবাদ প্রযোজক মুহম্মদ আবদুল কাইয়ূম পাভেল এর বড় ভাই মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ আর …